মশা থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: মশা মারতে রাসায়নিক স্প্রে এ্যারোসল, কয়েল, গন্ধযুক্ত ধূপ বা মশার ওষুধ কতো কিই না ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এসব ব্যবহারে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট ও ত্বকের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই ঘরের মশা তাড়াতে এবার নিতে পারেন প্রাকৃতিক উপায়ের আশ্রয়। জেনে নিন মশা তাডানোর কিছু প্রাকৃতিক কৌশল।

১. বেশি করে ক্ষারীয় সবজি খান। আপনার শরীরে ও রক্তে ক্ষার থাকলে মশা আপনাকে কামড়তে পছন্দ করবে না। আর তারপরও যদি মশা আপনাকে কামড়ায়, তাহলে সেটা থেকে চুলকানি হবে না। ২. রসুনের খোসা ছাড়ান। তারপর মশা যেখানে কামড় দিয়েছে সেখানে সেটা লাগান। একটু পরে সেখানে আর চুলকানি হবে না। ৩. বেশ কয়েকজন এক সাথে থাকার সময় মশা যদি কেবল আপনাকে কামড়ায়, তাহলে মশা যে গন্ধ অপছন্দ করে, আপনি সে গন্ধজাত খাবার বেশি করে খান। চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে, ভিটামিন ‘বি-এক’ মশা থেকে আপনাকে রক্ষা করবে। অনুষ্ঠানে বলা হয়, আপনি যদি বাইরে ভ্রমণে যান, তাহলে যাওয়ার ৩ থেকে ৪ দিন আগে থেকে ভিটামিন ‘বি-এক’ খেতে থাকুন। ভিটামিন ‘বি-এক’ খাওয়ার পর নিজে কোনো পার্থক্য হয়তো বুঝতে পারবেন না। কিন্তু মশা ঠিকই এ গন্ধ ধরতে পারবে এবং আপনার থেকে দূরে থাকবে। ৪. ভিটামিন ‘বি-এক’ পানির মধ্যে মিশান। তারপর এ পানি দিয়ে গোসল করুন। তাহলে মশা আপনাকে কামড়াবে না। উল্লেখ, এ ধরনের ভিটামিন বেশি খেলেও শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। কারণ ভিটামিন ‘এ’ পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। অতিরিক্ত পরিমাণ ভিটামিন ঘাম ও প্রস্রাবের সাথে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ৫. মসলার মধ্যের রাশি মৌরি ও মৌরি দুটি করে গরম পানিতে রাখুন। এ পানি দিয়ে গোসল করলেও মশা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ৬. ঘরে কমলার খোসা জ্বালান। এতে মশা থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি ঘরের দুগন্ধ দূর হবে। ৭. হালকা রঙের কাপড় পরুন। মশা কালো রং পছন্দ করে। সেজন্য গ্রীষ্মকালে হালকা রঙের কাপড় বেশি করে পরলে মশা থেকে রক্ষা পাবেন। ৮. মোজা পরুন। গ্রীষ্মকালে অনেকে মোজা পরতে পছন্দ করেন না। কিন্তু এক গবেষণায় দেখা গেছে, মোজা পরার পর মানুষের চামড়ার আর্দ্রতা ও নাজুকতা কমে বলে মশা কম কামড়ায়। ৯. মশার কামড়ের পর জায়গাটি চুলকায়। অনেকে তাত্ক্ষণিকভাবে চুলকানি কমানোর জন্য আঁচড় কাটেন। কিন্তু আঁচড় কাটার পর চামড়ার ভেতর থেকে তরল পদার্থ বের হয়ে আসে এবং জায়গায়টি ফুলে যায়। আর যত বেশি আঁচড় কাটা হয়, পরে তত বেশি চুলকায়। আপনি যদি আঁচড় না কাটেন, তাহলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর জায়গাটি আর চুলকাবে না।

১০. সন্ধ্যায় মশা জানালার কাছাকাছি থাকে আবার রাতের বেলা ভারি রঙের জিনিসের ওপর থাকে। মশার এ আচরণ জানা থাকলে তাদেরকে মারা সহজ হয়। ১১. মশা তাড়াতে অসাধারণ কাজ করে নিম তেল। নিমের গন্ধে দূরে থাকে মশা। তাই নিম তেল ও নারকেল তেলের মিশ্রণ সারা শরীরে লাগিয়ে নিলে মশার কামড় থেকে রেহাই পাবেন। ১২. নিমের মতোই প্রয়োজনীয় তুলসীও। শোবার ঘরের জানলার বাইরে যদি তুলসী গাছ লাগান, তবে অবশ্যই ঘরে ঢুকবে না মশা। আপানর ঘুম হবে শান্তির। ১৩. মশা দূরে রাখার জন্য লেবু তেল ও ইউক্যালিপটাস তেলের মিশ্রণও। এই মিশ্রণ শরীরে লাগালে মশাতো কামড়াবেই না, সংক্রমণের হাত থেকেও রেহাই পাবেন। ১৪. মশা মারার ওষুধ বা ধূপে থাকে কর্পূর। মশাকে দূরে রাখতে তাই বন্ধ ঘরে কর্পূর জ্বালান।