চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ি কৃষি ব্যাংকের নয়া কৌশল : ঋণ আদায়ে আজ হালখাতা : ঋণের টাকা না দিলে ব্যবস্থা

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: হালখাতায় হাজির হয়ে ঋণ পরিশোধ না করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। হালখাতায় মিষ্টির বদলে খেতে হবে জেলের ভাত। মাইকে এ ঘোষণা শুনে প্রথমে মনে হয়েছে এ কোনো মুদি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হালখাতার প্রচার। পরে জানা যায় হিজলগাড়ি কৃষি ব্যাংক শাখার পক্ষ থেকে ঋণ আদায়ের আয়োজন করা হয়েছে মাইক দিয়ে হালখাতার প্রচার-প্রচারণা। বিষয়টি নিয়ে প্রান্তিক ঋণগ্রহিতা চাষিদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হলেও এলাকায় মুখরোচক গল্প হয়ে দাড়িয়েছে। চৈত্রের শেষ দিনে ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা সদরের হিজলগাড়ি কৃষি ব্যাংক শাখা হালখাতার আয়োজন করেছে। হালখাতা করতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রঙ-বেরঙের কার্ড বিলি করে থাকে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক  কৃষিঋণ কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে দেশের সর্ববৃহৎ জাতীয় বিশেষায়িত একটি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৩ সালে কৃষি উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সরকারি ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে দেশের আপামর কৃষকদের জন্যে কৃষি ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৮৫ সালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হিজলগাড়ি বাজারে গড়ে ওঠে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একটি শাখা। বর্তমানে এ ব্যাংকে ঋণগ্রহিতা আছেন ২০০৮ জন। এ ব্যাংক থেকে বেগমপুর ইউনিয়নের ১৯টি গ্রাম এবং তিতুদহ ইউনিয়নের একটি অংশের মানুষ বিভিন্ন লেনদেন করে থাকেন।

এ বিষয়ে হিজলগাড়ি কৃষি ব্যাংক শাখার ম্যানেজার রবিউল ইসলাম বলেন, এ ব্যাংকে ১ হাজার ৪শ ঋণখেলাপি আছেন। এদেরকে ১৩ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল এবং সর্বশেষ ১৭ মে পর্যন্ত সময় দেয়া হবে। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া উপায়ন্তর থাকবে না। যার কারণে মাইকিং করে সর্বসাধরণকে জানানো হচ্ছে।