চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ভিক্ষুকমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস – সকলকে এই টাকা দিয়ে ছোট-খাটো ব্যবসা করে উপার্জন করতে হবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকা ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পৌরসভার সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে পৌর এলাকার ১৬০ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে আর্থিক অনুদান প্রদান করে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। প্রত্যেক ভিক্ষুকের মাঝে দেয়া নগদ অর্থ দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে বিভিন্ন পেশায় কর্মজীবী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মোট ১৬০ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হয়। জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা যৌথভাবে তাদের মধ্যে নগদ অর্থ প্রদান করে। এর মধ্যে পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের ৭ জন, ২ নং ওয়ার্ডের ১৭ জন, ৪ নং ওয়ার্ডের ৫ জন, ৬ নং ওয়ার্ডের ১৬ জন, ৭ নং ওয়ার্ডের ১৪ জন, ৮ নং ওয়ার্ডের ৩৭ জন এবং ৯ নং ওয়ার্ডের ৩৪ জন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার আয়োজনে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন এবারই শেষ নয়। যারা নগদ টাকা পেয়েও পেশাজীবী না হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করবে তাদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়া হবে। সুতরাং সকলকে এই টাকা দিয়ে বিভিন্ন ছোট-খাটো ব্যবসা করে উপার্জন করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু উপস্থিত ভিক্ষুককদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সবাই আমার মা, খালা, ভাই, বোন। ভিক্ষাবৃত্তি একটি ঘৃণিত পেশা। এই ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে আপনাদের উপার্জনক্ষম করতে সরকারিভাবে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। পৌর এলাকার ভিক্ষুকদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে, যাতে সবাই ওই ঘৃণিত পেশা ছেড়ে সামাজিকভাবে মাথা উঁচু করে উপার্জন করতে পারে। ছোট-খাটো অনেক ব্যবসা আছে যেমন, বাজারে সিদ্ধ ডিম বিক্রি, ওজন পরিমাপের যন্ত্র কিনে ওজন মাপাসহ অনেক কিছু আছে। যার মাধ্যমে সকলেরই উপার্জনক্ষম হওয়া সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, এই অর্থ কাজে লাগিয়ে যারা ব্যবসা করবেন, তাদের প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে আবারও সাহায্য করা হবে। আর যদি টাকা নিয়ে আবারও ভিক্ষাবৃত্তি করেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সকল কাউন্সিলর, মহিলা কাউন্সিলর, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন একরামুল হক মুক্তা, প্যালেন মেয়র-১, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি, নুরুন্নাহার কাকলী, সদস্য জেলা পরিষদ, চুয়াডাঙ্গা। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ছানোয়ার হোসেন।