চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে বর্ষবরণে বর্ণিল আয়োজন

অমঙ্গল আর সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: সব অমঙ্গল আর সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে উদযাপিত হলো বাংলা নববর্ষ। ঢাক ঢোল আর ডুগডুগির আওয়াজ। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস-উল্লাসে পয়লা বোশেখের উৎসবে মেতে উঠে পুরো দেশ। অগ্রগতি এবং মানুষে মানুষে সাম্যের কথা বলে এমন বাংলাদেশের স্বপ্নই বুনে দেয়া হয়েছে বর্ষবরণের অন্যতম আকর্ষণ এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায়। জনশ্রোত আনন্দ আর প্রাণের উচ্ছাস পুরো দেশজুড়ে। সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে এবং আলোর পথে এগিয়ে চলার অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে জাতি বরণ করলো নতুন বছরকে। ১৪২৪ বঙ্গাব্দের নতুন সকালে উগ্র মৌলবাদী ভীতি উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখতে সর্বজনীন চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে বাঙালি জাতি মেতে উঠেছিলো উত্সবে।  শুক্রবার সকালে পয়লা বোশেখে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিলো বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে। সব চোখ মানুষের মুখ আর মনন নতুন করে শুরু করার প্রত্যয় নিয়ে পেছনে ফেলে আসতে চায় জীর্ণতা আর সংকীর্ণতাকে। সাম্প্রতিক সময়ে মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ধর্মের দোহায় দিয়ে শেকলে বেঁধে ফেলার ষড়যন্ত্র ছিলো। তবু মানুষের প্রাণের উন্মাদনায় কমতি নেই হয়নি একটুকু। এ যে নতুন করে জীবন ও প্রতিটি দিনের মঙ্গল কামনা এলো।লাখো মানুষের বর্ণিল, উচ্ছল পদচারণায় রাজধানী  জনসমুদ্রে পরিণত হয়। চির নতুনের ডাক দিয়ে আসা পয়লা বোশেখের বৈচিত্র্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে নারী-পুরুষের রঙিন সাজে, শিশুদের মুখে ফুটে ওঠা আনন্দের হাসি আর বর্ণিল পোশাকে।

পুরাতন ও জরাজীর্ণকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে স্বাগত জানানার মধ্যদিয়ে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সারাদেশে গোটা জাতি বরণ করেছে বঙ্গাব্দ ১৪২৪। গতপর শুক্রবার ভোররে আলো ফোটার সাথে সাথে উত্সবে মেত ওঠে গোটা জাতি। স্বাগত জানায় নতুন বাংলা বছর ১৪২৪ কে। জীবন হোক ভয়হীন, চলাচল হোক উন্মুক্ত, স্বাধীন। উৎসব আর আমজে এবারও চুয়াডাঙ্গায় পয়লা বোশেখে রঙ ছড়িয়েছে বাঙালরি মন-স্লোগান কবিতায়, আর মঙ্গল শোভাযাত্রার উচ্ছ্বলতায়। তবে প্রচণ্ড খরতাপ থাকলে রাস্তায় মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ ছিলো স্বতঃস্ফূর্ত। অংশগ্রহণকারীদের বর্ণিল রঙিন সাজ, শাড়ি-পাঞ্জাবির বাহারি ডিজাইনের পোশাকে আবাল, বৃদ্ধ, বণিতা ও শাশুড়িদের মুখে ভেসে ওঠে চিরচেনা আনন্দের হাসি।

সকাল ৬টায় ঝনিুক বদ্যিালয় প্রাঙ্গণে প্রতিবারের মতো মুকুল ফৌজের বর্ষবরণে সাংস্কৃতকি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাড়ে ৭টায় চাঁদমারী মাঠ থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বের করা হয় বর্ণ্যাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার অগ্রভাগে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতষ্ঠিানের প্রধান ও এনজিও নেতেবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শোভাযাত্রাটি হাসান চত্বর ও কবরী রোড হয়ে সরকারি কলজে প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনকে সাজ-সজ্জা ও পরিপাঠির ভিত্তিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। ক-গ্রুপে মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করে রাহেলা গার্লস একাডেমি, দ্বিতীয় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। খ-গ্রুপে বিভিন্ন সংগঠন ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠন, দ্বিতীয় সংলাপ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে উদীচী। গ-গ্রুপে প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করে রেলবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বিতীয় ইসলাম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে কেদারগঞ্জ মডেল স্কুল। সকাল সাড়ে নয়টায় জেলা প্রশাসকের বাসভবনে আয়োজন করা পান্তা ভোজের। পান্তা ভোজে ইলিশ মাছ না থাকলেও ছিলো রুইমাছ ভাজি, আলুভর্তা, ডালভর্তা, কাচা মরিচ, লবণ, পেঁয়াজ, ডিম ভাজি ও বড়াভাজা। পান্তা ভোজনের পর জেলা প্রশাসকের বাসভবন এলাকা মাতিয়ে তোলে আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্রের শিল্পীরা। টেলেন্ট রজনীর সাথে আলমডাঙ্গা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহানের  কন্যা তাসনিম জাহান পমি বর্ষবরণ গান গেয়ে সকলকে মুগ্ধ করে তোলে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদে পান্তাভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা পরিষদ চত্বর এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন অতিথিদের স্বাগত জানান। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহধর্মিণী কাওসার জাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, অধ্যক্ষ (অব.) সিদ্দিকুর রহমান, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম ও জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জমান কবীর। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন স্টার গ্রুপের শিল্পী হারুন অর রশীদ শান্ত ও নাচ পরিবেশন করে শিশু রাকা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য শহিদুল ইসলাম সাহান ও ২নং ওয়ার্ড সদস্য মাফলাকাতুর রহমান সাজু। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা রমজান আলী, অসলাম উদ্দিন ও জালাল উদ্দিন। বাঙালী ও বাংলার ঐতিহ্য, স্লোগানকে সামনে নিয়ে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় ১০ দিনব্যাপি শুরু হয়েছে পৌর মেলা। স্থানীয় ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত এই মেলার আয়োজক চুয়াডাঙ্গা পৌর পরিষদ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মেলার উদ্বোধন করেন। এ সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন, পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী ও কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মেলায় ছোটদের নাগর দোলা ও শিশুদের খেলার সামগ্রীসহ অর্ধশত স্টল বসেছে। উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা মেলায় অংশ নেয়া বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, মেলা বাঙালি সংস্কৃতির হাজার বছরের ঐতিহ্য। দেশ থেকে জঙ্গিবাদ দূর করতে আমাদেরকে ও সন্তানদেরকে সংস্কৃতিমুখি করে গড়ে তুলতে হবে। আমি আশা করবো মেলা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে।

বাংলা নববর্ষে ফাস্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মেতেছিলেন আনন্দে। তারা সকলে সেজেছিলেন বাংলার সাঁজে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পদ্ম পাতায় মিষ্টি মুখ করে দিনের সূচনা হয়। পরে প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাসে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে শিক্ষার্থী ও অন্যান্য শিল্পীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, ট্রেজারার প্রফেসর আব্দুল মোত্তালিব, সহকারী ট্রেজারার নাফিউল ইসলাম জোয়ার্দ্দার শান্ত, রেজিস্ট্রার মো. মকবুল হোসেন, ডিজি ফাইন্যান্স আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মহবুব আলম, ইংরেজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ইমরোজ মোহাম্মদ শোয়েব, লেকচারার আমিরুল ইসলাম জয়, নাজমুল হক, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।

চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝরা পাতার দিন শেষে কিংবদন্তীর স্মৃতি মেখে এসো হে বৈশাখ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গতকাল সকাল ৯টায় সাহিত্য পরিষদ চত্ত্বরে নববর্ষ ১৪২৪ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জারি গান, কবি গানসহ ঐতিহাসিক লোকজ সংস্কৃতির ধারক ও বাহক কবি নুরুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের আজীবন সদস্য বিশিষ্ট সাহিত্য গবেষক অধ্যাপক আব্দুল মোহিত। অনুষ্ঠানের শুরুতে পুরনো বছরের দুঃখ বেদনা মুছে ফেলে নতুন বছরে সকলের সুখ সমৃদ্ধি কামনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম। বাঙালির অসাম্প্রদায়িক প্রাণের উৎসব পহেলা বোশেখের স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করেন অ্যাড. বজলুর রহমান, লেখক ও গল্পকার শওকত আলী, করি নজমুল হেলার প্রমুখ। আলোচনার ফাঁকে-ফাঁকে চলতে থাকে স্বরচিত লেখা পাঠ। স্বরচিত লেখা পাঠ করেন মো. আনসার আলী, আখতারুজ্জামান মুকুল, অশোক দত্ত, রাবেয়া খাতুন রাবু ও রহমত বিশ্বাস। নির্বাচিত কবিতা আবৃত্তি করেন আনিকা আনজুম প্রেমা ও অ্যাড. বজলুর রহমান। সব শেষে চুয়াডাঙ্গা আবৃতি পর্ষদের শিশুরা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করে উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানটি প্রাঞ্জল উপস্থাপনা করেন মোঃ আনসার আলী ও মনোয়ারা খুশি।

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তেতুল শেখ কলেজের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রা বের করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা হাজি আব্দুল্লাহ শেখ, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম কিবরিয়া,সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের টু আইসি এএসআই বেলাল হোসেন, জলিবিলা জামে মসজিদে ঈমাম আবুল কালাম আজাদ, ডা. মশিয়ার রহমানসহ কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ। অতিথিসহ শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একসাথে পান্তা ইলিশ খাওয়ানোর মধ্যদিয়ে শেষ হয়।

ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের উদ্যোগে আলোচনাসভা ও র‌্যালি বের করে অংশগ্রহণ করেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হাজী আব্দুল্লাহ শেখ, প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ, অব শিক্ষক জুড়োন আলী শেখ। সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন- পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা, পরিচালনা কমিটির সদস্য আশিকুর রহমান, জেড আলম সুমন, জিল্লুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকবরসহ শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ, খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় আলোচনাসভা ও র‌্যালি বের করেন।

      ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, পয়লা বোশেখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত শুক্রবার সকাল ৮টায় ডিঙ্গেদহ বালিকা বিদ্যালয়, সোহরাওয়ার্দ্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, উদীচী ডিঙ্গেদহ শাখা, শঙ্করচন্দ্র সরকাইর প্রাথমিক বিদ্যালয়, জালশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ডিঙ্গেদহ বাজার সহ এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করেন। এ শোভাযাত্রায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। সকাল ৯টায় শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শংকরচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: রহমান। অপরদিকে ডিঙ্গেদহ বাজারে অনুষ্ঠিত বোশেখি মেলা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

পাঁচমাইল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে বোশেখি উপলক্ষে রামীম ক্লাবের উদ্যোগে গরিব ও দুস্থদের মাঝে শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। হাজি আতর আলী মার্কেটের সামনে শুক্রবার বিকেল গোলজার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সরোজগঞ্জ রামীম ক্লাবের সভাপতি আসলাম হোসেন মিজান। বিশেষ অতিথি ছিলেন হুমাইয়ন আহাম্মেদ, সাংবাদিক হাবিব রহমান,আব্দুস সালাম হারান, মোমিনুর রহমান, মামুনুর রহমান,আনারুল ইসলাম, রাজু আহাম্মেদ,তোতা মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, বকুল মিয়া,সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।বোশেখ উপলক্ষে রামীম ক্লাবের উদ্দেগ্যে কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

বদরগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে গত শুক্রবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্র্র্তৃক বাংলা নববষের্র নতুন বছর বরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা র‌্যালির আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মো.আব্দুল মোতালেব। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচলিনা সদস্য মঈনুদ্দিন আহমেদ খাজা, সহকারি শিক্ষক সানোয়ার হোসেনসহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক কর্মচারি বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহকারি শিক্ষক মো. সাইফুল বাসলাম স্বপন।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় বাঙালির প্রাণের উৎসব বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পয়লা বোশেখ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শহরে মঙ্গলশোভাযাত্রার বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। মঙ্গলশোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ফিরে যায়। সেখানে ১লা বোশাখ উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ প্রাঙ্গণে সকলে সমবেত হন। মঙ্গলশোভাযাত্রার সম্মুখভাগে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন, উপজেলা নির্বাহি অফিসার আজাদ জাহান, পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, আলমডাঙ্গা ওজোপাডিকোর প্রকৌশলী আবেদ আলী, থানা অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন, আওয়ামীলীগের বন ওপরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, উপজেলা আওয়ামেীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা, ইউপি চেয়ারম্যান, নজরুল ইসলাম, আবু সাঈদ পিন্টু, আব্দুল হালিম, কাউছার আহমেদ বাবলু, আমিরুল ইসলাম মন্টু, দারুস সালাম, মাসুদ পারভেজ,নুরুল ইসলাম,   উপজেলা মৎস্য অফিসার মঈনুল ইসলাম , সমাজসেবা অফিসার আবু তালেব, প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি হামিদুল ইসলাম আজম, শাহ আলম মন্টু, সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষ অফিসার জিয়াউল হক, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুর ইসলাম, শাহাজান রেজা, রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা। এছাড়া শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন রঙ-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, মুখোশ, হরেক রকম পুতুল ও কাগজ দিয়ে তৈরি প্রতিকৃতি, বাংলার ঐতিহ্য পালকিতে নববধু, গরুর গাড়ি, লাঙ্গলজোয়াল কাঁধে কৃষক, পলো,চাকসহ মাছ ধরার নানা প্রাচীন যন্ত্র  নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্র, মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক সংসদ, মাটি সাংস্কৃতিক একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠণের শিল্পীরা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। একই সময়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ উপস্থিত সকলকে থেকে পান্তা পরিবেশন করানো হয়। এছাড়াও আলমডাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয় প্রায় ১২শ শিক্ষার্থীসহ সকল শিক্ষকবৃন্দ বিশাল মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ চত্বরে পয়লা বোশেখের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলমডাঙ্গা আল-ইকরা ক্যাডেট একাডেমি, আলমডাঙ্গা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এম, সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সাংষ্কৃতিক সংগঠন।

অন্যদিকে আলমডাঙ্গায় বাঙালির প্রাণের উৎসব বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে পয়লা বোশেখ উদযাপন উপলক্ষে নানা আয়োজনে গোবিন্দপুর একাদশ মঙ্গলশোভাযাত্রার বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে। র‌্যালিয়ে যোগদেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান, থানা অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন, পৌর কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান ফারুক, পৌর যুবলীগের সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনাহার, সাইফুর রহমান পিন্টু, রনি প্রমুখ।

আসমানখালী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আসমানখালী মাধ্যামিক বিদ্যালয় ও নান্দবার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যাগে সালকে স্বাগত জানিয়ে এক বর্নাঢ্য র‌্যালীর আয়োজন কওে । র‌্যালী শেষে ছোট আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টান হয়।  উক্ত র‌্যালী ও অনুষ্টানে উপস্তিত ছিলেন নান্দবার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মুন্সী ইমদাদুল হক,আওয়ামি  বাস্তহারালীগ কেন্দ্রর সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান লাভলু, আওয়ামীলীগ নেতা এমদাদুলহক ওদুদ, এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও দুই বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম,  শাহাজান হোসেন সহ সহকারী শিক্ষক-শিক্ষীকা, ছাত্র-ছাত্রী।

      দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনা সহ পার্শ্ববতি এলাকায় বাংলা নববর্ষ পয়লা বোশেখ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এ বছরো দর্শনা অনির্বান থিয়েটারের আয়োজনে যেমন খুশি তেমন সাজো বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। পহেলা বোশেখ সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে দর্শনা কলেজ মাঠ থেকে র‌্যালির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে অনির্বাণ থিয়েটার কর্তৃপক্ষ। পহেলা বোশেখের প্রথম প্রভাত ফেরিতে অংশ নেয় বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে সিডিএল, মেমনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লিটিল এনজেলস ইন্টার ন্যাশনাল স্কুল, দক্ষিনচাদপুর বিদ্যালয়, দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, রামাযুস, জেসিডি, শান্তিনগর সংগঠন, পুরাতন বাজার দোকান মালিক সমিতি, দর্শনা সরকারি কলেজ, শান্তিনগর শিশু সংগঠন, সজিব সংগঠন, শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাজো দর্শনা, মাই ওয়ান, নন্দনিক, ফোর্স সংগঠন, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, আস্তা দর্শনা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষের র‌্যালি। কোন প্রকার প্রতিযোগিতার মূলক না হওয়ায় বরাবরের মতো এবারের র‌্যালি তেমন জমে ওঠেনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষাবিধ মোশাররফ হোসেন, অনির্বাণ থিয়েটারের সভাপতি ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আলী কদর প্রমুখ।

      দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গত শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। দামুড়হুদা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কানন বিদ্যাপীঠ, দশমী বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দশমী বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাইলট মডেল হাইস্কুল, পাইলট গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব, উপজেলা সাহিত্য পরিষদ, দশমী সোনারতরী বন্ধু সংঘসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান র‌্যালিতে অংশ গ্রহন করে। এর আগে  দিবসের শুরুতেই শহীদ মিনার পাদদেশে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির ওস্তাদ আসমত আলী বিশ্বাসের নেতৃত্বে বাংলা নববর্ষকে গানে গানে বরণ করেন।

সকাল ১০টায় শহীদ মিনার চত্বরে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা নাফিস সুলতানা, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, উপজেলা মহিলা ভাইস ছালমা জাহান, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দীন, উপজেলা কৃষি অফিসার সুফি মো. রফিকুজ্জামান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকী সালাম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রাফিজুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. মোখলেছুর রহমান, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টন, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক, এনজিও সংস্থা কারিতাসের মাঠ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা শেষে র‌্যালিতে অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নাজির হামিদুল ইসলাম।

হাউলী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ উপলক্ষে জয়রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে র‌্যালী ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে বিদ্যালয় চত্তর থেকে এক র‌্যালি বের হয়। র‌্যালি শেষে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আয়ুব আলী স্বপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত  ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক আহম্মদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল ছালাম, হুমায়ন কবীর ডাবলু, ওহিদুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক সামীমা, রাফিকা জিয়া প্রমুখ। পরে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বোশেখি গান পরিবেশন করে।

জুড়ানপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে জুড়ানপুর, বিষ্ণুপুর, ইব্রাহিমপুর ও লক্ষ্মীপুর এ গ্রামে বসে বোশেখি মেলা। মাটির তৈরি হাড়ি-পাতিলসহ বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রীর পসড়া সাজিয়ে বসেছিল আয়োজনকারীরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মেলা প্রাঙ্গনগুলোতে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের ভিড়। স্টলের মালিকেরা জানান আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভাল থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বেচা-বিক্রি অনেকটাই বেশি।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জীবননগরে বাংলা নববর্ষ বরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পান্তা-মাছের আয়োজনসহ নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সকালে উপজেলা ক্যাম্পাস হতে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল ও ইউএনও সেলিম রেজার নেতৃত্বে বোশেখের র‌্যালি বের করা হয়। পয়লা বোশেখের নানা সাজে সজ্জিত হয়ে বিপুল সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সূধীবৃন্দ র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করে। র‌্যালি শেষে উপজেলা ক্যাম্পাসের বটতলায় আলোচনাসভার মাধ্যমে নববর্ষকে বরণ করা হয়। এ সময় উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পান্তা-ইলিশ পরিবেশন করা হয়। পরে প্রতিযোগিয়া অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও উপজেলার উথলী, আন্দুলবাড়িয়া, রায়পুর, হাসাদাহ, বাঁকা, সীমান্ত, মনোহরপুর ও কেডিকে ইউনিয়নে জাঁকজমকপূর্ণভাবে নববর্ষকে বরণ করে নেয়ার খবর পাওয়া গেছে।

      আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বাংলা নবর্বষের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া সাহিত্য পরিষদ, নবাই সন্যাসীর নবদুয়া উদযাপন কমিটি আয়োজিত বাউল মেলা, নুড়িতলা কমিটি ও আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় আয়োজিত নানা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে আন্দুলবাড়িয়া সাহিত্য পরিষদের উদোগে পান্ত ইলিশ ভোজন,স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে। সাংবাদিক নারায়ণ ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার, বিশেষ অতিথি ছিলেন, আন্দুলবাড়িয়া খান ব্রিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিম খান, কবিতা আবৃত্তি করেন, আব্দুল হামিদ ফকির, হাফিজুর রহমান প্রমুখ। উপস্থাপনা ও আপ্যায়নে  ছিলেন, সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুনাহার শোভা। নবাই সন্যাসীর নবদুয়া কমিটির সভাপতি শেখ হাফিজুর রহমান, সহসভাপতি শেখ মাসুম, সাধারণ সম্পাদক হিরণ,সদস্য আলাল, হাবিব, নাসির, লিটন, রবি শেখ আসানের নেতৃত্বে বাউল মেলা অনুষ্টিত হয়েছে। বাউল সংঙ্গীত পরিবেশন করেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের লোক সংঙ্গীত শিল্পী ধীরু বাউল, এসআই শ্যামল কুমার সমদ্দার, স্থানীয় শিল্পী আজাদ,হারুন,শাহাজান,আব্দুল হামিদ, শেখ রফিক সহ অনেকে। বাদ্যযন্ত্র সহযোগিতায় ছিলেন, মোল্লা আলী আহম্মদ মেম্বর। নুড়িতলা উদযাপন কমিটির সভাপতি মির্জা শাহাজান ও সাধারণ সম্পাদক আনার ফকিরের উদোগে মিলাদ মহাফিল ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন সহ আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদোগে বর্ষবরণ অনুষ্টান অনুষ্টিত হয়েছে।

      মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মেহেরপুরে মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা ও সংগীত অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪২৪ উদযাপন করা হয়েছে। গত শুক্রবার সকাল ৭ টায় মেহেরপুর জেলা প্রশাসন চত্বর থেকে মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে শহরে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে র‌্যালিটি শহীদ ড. সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান। পরে সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

র‌্যালি ও আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক খায়রুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রশিদুল মান্নাফ কবীর, (রাজস্ব) শেখ ফরিদ আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আলহাজ মো. আসকার আলী, সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য প্রমুখ। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল-কলেজ এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নববর্ষের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন। পরে সরকারি বে-সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্কুল-কলেজে ইলিশবিহীন আলু ভর্তা দিয়ে পান্তা ও খিচুড়ি খেয়ে বাঙালির ঐতিহ্য বাংলা নববর্ষ পালন করেন।

ফ্রেন্ডস ৮৭’র উদ্যোগে মেহেরপুরে ১৪২৪ বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার দিন ব্যাপি অনুষ্ঠানে মেহেরপুর ফ্রেন্ডস ৮৭’র সদস্য প্রধান উপদেষ্টা সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনের উপস্থিতি বর্ষবরণ প্রানবন্ত হয়ে উঠে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফ্রেন্ডস ৮৭’র পরিবারের সদস্যদের  খেলাধুলা, র‌্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণীসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এছাড়াও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য ফ্রেন্ডস ৮৭’র সদস্য খাজা মঈন উদ্দিন লিটন ও বুড়িপোতা ইউপির নবনির্বাচিত সদস্য শরিফুল ইসলামকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়। ফ্রেন্ডস ৮৭’র সভাপতি আমিনুল ইসলাম খোকনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, উপদেষ্ঠা সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, নুরুল ইসলাম, সহসভাপতি মো. আতিক, যুগ্ম সম্পাদক ফজলুল হক মন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ সানোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, বিপ্লব, মান্নান, আক্কাস আলী,  শহিদুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম ও পাপ্পু।

      গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে মেহেরপুর গাংনী উদযাপিত হয়েছে বাঙালির বাংলা নববর্ষ। শুক্রবার পয়লা বোশেখের সকালে নানা রঙের পোশাক পরে বিভিন্ন স্কুল কলেজ ছাত্রছাত্রী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মিলিত হয়েছিলেন উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে। সকাল ৮টায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্নাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে শহরের প্রধান সড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শোভাযাত্রা ছড়িয়ে পড়ে। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে নেচে গেয়ে শোভাযাত্রাতে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি করেন তরুণ-তরুণীরা। শোভাযাত্রায় আহবমান বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহম্মেদ। উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনসহ আ.লীগ নেতৃবৃন্দ। দ্বিতীয় পর্বে উপজেল পরিষদ চত্ত্বরে পান্তা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে সাহারবাটি ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে চারচার প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বর্ষ বরণ উৎসব ও লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়। সকাল ৭টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সকাল দশটায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক মুক্তি। প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন ও উদ্বোধক ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্জ গোলাম রসুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহম্মেদ, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা মমতাজ কাকলী, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান তৌহিদ মোর্শেদ অতুল, কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা ও রাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আব্দুল আল আমিন ধুমকেতু।

অপরদিকে এ উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে উদপাপিত হয় পয়লা বোশেখ। তবে অনুষ্ঠানে কিছু তরুণের উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ড বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান সমালোচনার মধ্যে পড়ে। হিন্দি গানের সাথে নেচে গেয়ে উল্লাস করা ছিলো নিন্দনীয়। এছাড়াও চৌগাছা দৃষান্তগোষ্ঠীর অনুষ্ঠানও বিতর্কিত হয়। আয়োজক কমিটির সভাপতি তৌহিদ ঝাপাং খেলার নামে টিকিট দিয়ে টাকা আদায় করেন। গাংনী থানার ওসির নামে এ টাকা উত্তোলন করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। পরে অবশ্য তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গ-গোলের জের ধরে ঝাপাং খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এটিও সাজানো নাটক কিনা তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। বাংলা বর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে নতুন প্রজন্ম কি শিখবে তা ঠিক করে অনুষ্ঠান সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন গাংনীর বিশিষ্ঠ জনেরা।

      মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মুজিবনগরে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হচ্ছে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মুজিবনগরে মঙ্গল শোভযাত্রা করেছে উপজেলা জেলা প্রশাসন। গত শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হেমায়েত উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। মুজিবনগর থানা ইনচার্জ (ওসি) কাজী কামাল হোসেন, বাগোয়ান চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন, মফিজুর রহমান,তৈফিকুল বারী বকুলসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনিতীবিধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সহ উপজেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। পরে বৈশাখকে বরণ করে মুজিবনগর উপজেলা চত্তরে পান্তা ভাত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুরুপ গৈরিনগর সরকারী প্রাথমিক ও নাজিরাকোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়াজনে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শেষে বিদ্যালয় চত্তরে পান্তাভাত পরিবেশন শেষে গানে গানে বৈশাখকে বরণ করে নেয়া হয়।

      ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহে বাঙালির প্রাণের উৎসব বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে পয়লা বোশেখ উদযাপিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুক্রবার সকালে শহরের ওয়াজির আলী হাইস্কুল মাঠ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল হাই, জেলা প্রশাসক মো. মাহাবুব আলম তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, পিপি অ্যাড. মো. ইসমাইল হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মকবুল হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি এম. রায়হানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন রং-বেরংয়ের ব্যানার, ফেস্টুন, মুখোশ, হরেক রকম পুতুল ও কাগজ দিয়ে তৈরি প্রতিকৃতি নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে এক আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে এখানে ১৫ দিনব্যাপী বোশেখি মেলার উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও জেলার ছয়টি উপজেলায় বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হচ্ছে বর্ষবরণ।

      মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মহেশপুরের ফতেপুর গাজীরননেছা বালিকা বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী বাংলা নববর্ষ-১৪২৪ উদযাপিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে বিকালে স্কুল প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণ অণুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ ৩ আসনের এমপি মোঃ নবী নেওয়াজ। বিশেষ অতিথি াহসাবে বক্তব্য রাখেন ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার লান্টু প্রমুখ। এর আগে সকাল ৭টায় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও সভাপতি আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী স্কুল চত্বর থেকে বের করা হয়। পরে ছাত্রীদের মধ্যে পান্তা ভাত খাওয়া নববর্ষের রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে পুরষ্কার বিতরনী সভায় প্রধান অতিথি বলেন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আমাদেরকে নারী শিক্ষার অগ্রগতি ঘটিয়ে দেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত করতে হবে। তিনি নববর্ষ উদযাপন করায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং স্কুলের উন্নয়নে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন।