যুবক লিটন মিয়ার কারাদণ্ডা ও বিজিবি সদস্য মাধবপুরের ভূট্টো বিরুদ্ধে আটকাদেশ

অ্যাসেম্বিলি চলাকালীন মোবাইলে নারী শিক্ষকের ছবি ধারণ করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায়

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: অ্যাসেম্বিলি চলাকালীন গোপনে মোবাইলফোনে এক নারী শিক্ষকের ছবি ধারণ করার অপরাধে বখাটে যুবক লিটন মিয়ার ১৫ দিনে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার আলমডাঙ্গা বাদেমাজু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছবি তোলার সময় হাতেনাতে আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়ে আটকে রাখা হয়। ছবি তোলার সময় অপর যুবক বিজিবি সদস্য জুলফিকার আলী ভুট্টকে ধরতে গেলে পালিয়ে যায়। পরে আটক এক যুবককে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড প্রদান করেন। পলাতক বিজিবি সদস্যকেও গ্রেফতারের আদেশ দেন।

জানা গেছে, উপজেলা ডাউকি ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের ফকির চান মেম্বারের ছেলে ঢাকা পিলকানায় কর্মরত বিজিবি সদস্য জুলফিকার আলী ভুট্ট (২৫) একই গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে ঢাকা বাংলা কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র লিটন মিয়াকে (২০) সাথে নিয়ে বাদেমাজু গ্রামে আসেন।

লিটন বলেন, ভুট্ট তার মামা শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার কথা বলে আমাকে ডেকে নেয়। বাদেমাজু মোড়ে এসে মামা শ্বশুর বাড়ি না গিয়ে জুলফিকার আলী ভুট্ট বাদেমাজু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাসেম্বিলি করানোর সময় গোপনে এক নারী শিক্ষকের ছবি মোবাইলে ধারণ করেন। এসময় স্কুলের সভাপতি ইখতার আলী বিষয়টি টের পেয়ে ওই দুই যুবককে আটকের চেষ্টা করেন। কৌশলে জুলফিকার আলী ভুট্ট পালিয়ে গেলেও লিটনকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আকবার আলীকে অবগত করলে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহানকে বিষয়টি জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান আলমডাঙ্গা থানা থেকে পুলিশ সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বখাটে যুবক লিটন মিয়াকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। সেই সাথে ঢাকা পিলকানায় কর্মরত বিবাহিত যুবক বিজিবি সদস্য জুলফিকার আলী ভুট্টকে গ্রেফতারের আদেশ দেন।

এদিকে, বিজিবি সদস্য জুলফিকার আলী ভুট্টকে বাঁচাতে এলাকার প্রভাবশালী একাধিক ব্যক্তি প্রশাসনের কর্তাদের দ্বারে রাত অবধি দৌড়ঝাঁপ শুরু করে বলে জানা যায়।