শিশু শিক্ষার্থীর কান-চওয়ালে থাপ্পড় মেরে শ্রবণশক্তি কেড়ে নেয়া শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া শুরু

 

স্টাফ রিপোর্টার: শিশু শিক্ষার্থীর কান-চওয়ালে থাপ্পড় মেরে শ্রবণ শক্তি কেড়ে নেয়া শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিশু শিক্ষার্থীর পিতার সকল প্রকার আইনগত সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে চুয়াডাঙ্গার মানবতা ফাউন্ডেশন। শিশু শিক্ষার্থীর পিতা আইনগত সহায়তা চেয়ে আবদেন করলে মানবতা ফাউন্ডেশনের তরফে নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দাকর এ প্রতিশ্রুতি দেন।

মানবতা ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের ধোপাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র ফারদিন আহম্মেদ ফাহিম। গত ১২ ফেব্রুয়ারি স্কুলে টিফিন পিরিয়ডে সহপাঠীদের সাথে খেলছিলো ফাহিম। এ সময় এলাকার মস্তিষ্ক বিকৃত রোগে আক্রান্ত শামসুল নামক ব্যক্তি স্কুলমাঠের অদূরে আসেন। শিক্ষার্থীরা ওই পাগলের দিকে ছুটে যায়। কেউ কেউ ইটও নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে শ্রেণিশিক্ষক মমিনুল ইসলাম এগিয়ে গিয়ে ছাত্র ফাহিমকে ধরে শ্রেণিকক্ষে নিয়ে বেত্রাঘাত করেন। এ সময় স্কুলের অপর সহকারী শিক্ষক খাঁজা আহম্মেদ ছুটে গিয়ে শিশু শিক্ষার্থী ফাহিমের দু কান-চওয়ালে উপর্যুপরি থাপ্পড় মারতে থাকেন। শিশু ফাহিম কাঁদতে কাঁদকে বাড়ি ফেরে। তার কান দিয়ে রক্ষক্ষরণ হতে থাকে। চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা দিয়েও সুস্থতা না মিললে নেয়া হয় ঢাকায়। দীর্ঘ দু মাস ধরে চিকিৎসার এক পর্যায়ে ঢাকার চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, ফাহিমের এক কানের পর্দা ফেটে যাওয়ায় সে ওই কানের শ্রবণশক্তি হারিয়েছে। অপর কান দিয়ে অবশ্য সে শুনছে। এ অবস্থায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন ফাইহিমের পিতা। তিনি গতকাল মানবতা ফাউন্ডেশনের আইনগত সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনগ্রহণকালে ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালকসহ অ্যাড. জিল্লুর রহমান জালাল, অ্যাড. মাসুদুর রহমান টিটোন, সাজজিদা রুপাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।