নির্বাচন হোক সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে

আজ মঙ্গলবার। মেহেরপুর পৌরসভার নির্বাচন। ৬ বছর পর পৌরবাসী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। পূর্বে পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্দলীয়ভাবে হলেও এখন তা রাজনৈতিক দলীয় প্রতীকেও প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেন। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অবাধ পরিবেশে যাতে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সে লক্ষ্যে সকল প্রকার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হলেও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীসহ বর্তমান মেয়র সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে দু দিন আগে। নির্বাচন হোক সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে। এ প্রত্যাশায় প্রহর গুনছেন এলাকার উন্নয়নকামী শান্তিপ্রিয় জনসাধারণ।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি ও শাদা পোশাকে পুলিশ নিয়োজিত রাখা হয়েছে। ১৫টি কেন্দ্রের প্রতিটিতিতেই একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে পৌঁছে ভিড়ের কারণে বিলম্ব হলে তাদের ভোটও গ্রহণ করা হবে। মোট ৩০ হাজার ৯৬৫ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ২৩, নারী ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৭৩২। ১৫টি কেন্দ্রের ৯১টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ৪ জন। এর মধ্যে দুজন দলীয় প্রতীকে। অপর দুজন স্বতন্ত্র। নিজেদের পছন্দের প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বেশির ভাগ ভোটারের রায়ের প্রেক্ষিতে মেয়র নির্বাচিত হবেন। এছাড়া ওয়ার্ড প্রতি একজন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে একজন করে ৯টি ওয়ার্ডে তিনজন প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। নির্বাচিতরা পৌর নাগরিক সুবিধা উন্নয়নে পৌরবিধি মোতাবেক দায়িত্ব পালন করবেন। মূলত সেবার ব্রত নিয়েই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন, দায়িত্ব পালন করেন।
মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচন ৫ বছর পর হওয়ার কথা থাকলেও মামলা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে বিলম্ব। আইনি জটিলতা কাটিয়ে এক বছর পর ৬ বছরের মাথায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভোট। প্রার্থিতা পেশের পরও বেশ কিছু নাটকীয়তাও পরিলক্ষিত হয়েছে। নির্বাচন নিরপেক্ষ পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারাটা অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। মেহেরপুর প্রশাসন এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিশ্চয় দক্ষতার পরিচয় দেবে বলেই বিশ্বাস। ক্ষমতার প্রভাব, পক্ষপাতিত্ব নির্বাচনের পরিবেশকেই শুধু বিঘিœত করে না, ভোটার সাধারণের মাঝে পুঞ্জিভূত করে ক্ষোভ। বাধাগ্রস্ত হয় উন্নয়ন। আস্থাহীনতায় হাবুডুবু খায় গণতন্ত্রের চর্চা।