বাঘ আতঙ্কে গ্রামবাসী!

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুরে বর্তমানে বাঘ আতঙ্কে ভুগছে গ্রামবাসী। তারা এখন প্রতিনিয়ত বাঘের ভয়ে দিন কাটাচ্ছে। ইতোমধ্যে একটি বাগডাশার বাচ্চাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী। গত সোমবার সকালে উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়নের আবুরী গ্রামের গ্রামবাসী বাঘটিকে আটক করে পরে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে তারা বাঘটিকে মেরে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। বাঘটির দৈর্ঘ্য ৪ ফিট আর প্রস্ত ১৬ ইঞ্চি। স্থানীয় এলাকাবাসী জুমারত আলী জানান, বাঘটি কোথা থেকে কিভাবে লোকালয়ে এসেছিলো তা আমরা জানি না। তবে মাঝে মধ্যেই বাঘটিকে ওই এলাকায় দেখা যেতো। বাঘটিকে প্রথম দেখা মোমেনা খাতুন জানান, আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাড়ির পাশ দিয়ে কি যেন লাফ দিয়ে দ্রুত চলে গেলো। তারপর আমি চিৎকার শুরু করি। পরে লোকজন এসে দেখে বাঘ।

বাঘটিকে আটককারী আব্দুস সালাম জানান, মোমেনা খাতুন নামের একজন মহিলা তার বাড়ির পাশ দিয়ে বাঘটিকে যেতে দেখে চিৎকার শুরু করে। এতে লোকজন জড় হলে বাঘটি পাশের পানির পাইপের মধ্যে ঢুকে যায়। সে সময় আমি একটা বস্তা নিয়ে গিয়ে কৌশলে বাঘটিকে বস্তার ভেতরে। তারপর বাঘটি ছটফট শুরু করে। পরে লোকজন সবাই আতঙ্কিত হয়ে বাঘটিকে হত্যা করি। তিনি আরো জানান, আমি আগে জানতাম না যে সেটা বাঘ। আমরা শেয়াল মনে করে তাকে বস্তা দিয়ে ভরেছিলাম। মালিহাদ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই আলামিন জানান, গ্রামবাসীরা যে বাঘটিকে মেরেছে সেটা চিতা বাঘের বাচ্চা। মৃত বাঘটিকে মাটিচাপা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওই গ্রামে বাঘ হত্যার ঘটনা এটা প্রথম না। প্রায় প্রায়ই ওই এলাকায় বাঘ দেখা যায়। এই নিয়ে প্রায় বাঘ আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। মালিহাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আকরাম হোসেন জানান, এই গ্রামে বাঘ নতুন না। প্রায় রাতেই দেখা যায়। এই নিয়ে এই এলাকা থেকে ৫টি বাঘ মারা হয়েছে। স্থানীয় নুর-এ-আল আমিন বুলবুল জানান, এই এলাকার মানুষ কিছুটা বাঘ আতঙ্কে ভুগছে। কয়েকদিন আগে এই গ্রামের একটি বাড়িতে মাথাবিহীন ছাগল পাওয়া গেছে। তার পরে এই বাঘটা।

স্কুলছাত্র মুন্না জানায়, আমি সকালে স্কুল যাওয়ার পথে বাঘটিকে ধরতে দেখি। তারপর থেকেই আমার মনের মধ্যে কেমন বাঘ বাঘ আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে সেটাকে বাঘ না বলে জানিয়েছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, সেটা হাঁস-মুরগি খাওয়া মেছো বাঘ জাতীয় বাগডাশা। কুষ্টিয়া সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আসলাম মজুমদার জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। যেহেতু মেরে ফেলা হয়েছে। এখন কিছুই করার নেই।