গাংনীতে ইজিবাইকের চাকায় ওড়না জড়িয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

 

গাংনী প্রতিনিধি: আজরা সাদিয়া নামের এক স্কুলছাত্রী ইজিবাইকের চাকায় ওড়না জড়িয়ে মৃত্যু বরণ করেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে মেহেপুর গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজরা সাদিয়া এ উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। সে জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার করুণ মৃতুতে পরিবার ও বিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় বিদ্যালয় থেকে সহপাঠীদের সাথে একটি ইজিবাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলো সাদিয়া। গ্রামের পার্শ্ব^বর্তী দেবীপুর গ্রামে পৌঁছুলে তার ওড়না ইজিবাইকের চাকার সাথে জড়িয়ে যায়। এতে স্বাসরোধ ও গলায় ক্ষত হয়। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তার মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, সাদিয়া ইজিবাইকের পেছনের সিটে দুজন যাত্রীর সাথে বসে ছিলেন। ইজিবাইকের সিটের পেছনের ফাঁকা অংশ ছিলো। ওই ফাঁকা অংশ দিয়ে তার অজান্তে ওড়না জড়িয়ে যায়। স্বাসরোধ হয়ে তার শরীর ঝাকুনি দিলে পাশের যাত্রীরা টের পান। ওড়না কেটে তাকে ইজিবাইক থেকে নামানো হলেও গলার কিছু অংশ কেটে গিয়েছিলো।

এদিকে খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুষ্টিয়া মেডিকেলে সাদিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্ত নিয়ে টানাটানি চলছিলো।

জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হাসান আল নুরানী গতরাতে সাদিয়ার গ্রামের বাড়ি থেকে বলেন, মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নিয়েছে পরিবার। ময়নাতদন্ত করতে চাইছেন না তারা। কিন্তু কুষ্টিয়া থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের পক্ষে। এ নিয়ে পরিবার ও পুলিশের মাঝে টানাটানি চলছে। চককল্যাণপুর গ্রামের ইরাক প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাকের তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে সাদিয়া ছোট। বড় ছেলে নয়ন সেনাবাহিনীতে কর্মরত। ছোট ছেলে এবার এসএসসি পাস করেছে। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়ি ফেরার উদ্যোগ নিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। তবে তিনি মেয়ের মুখখানি শেষ বারের মতো দেখতে পারছেন না। দেশে ফিরতে কয়েকদিন সময় লাগবে বলে পরিবারসূত্রে জানা গেছে।