মেধাবীরা একদিন দেশ ও জাতি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে

এসএসসি পরীক্ষায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুদানকালে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস

 

স্টাফ রিপোর্টার: হাজারও প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা ও চরম দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বেশকিছু গরিব মেধাবী শিক্ষার্থী। মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাফল্য নিয়ে বেশকিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় দৈনিক মাথাভাঙ্গায়। প্রতিবেদনের প্রতি সু-নজর পড়ে চুয়াডাঙ্গার বিদায়ী জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের। তিনি এ প্রতিবেদন পড়ে খুঁজে বের করেন এসব মেধাবী শিক্ষার্থীদের। মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষাক্ষেত্রে ফলাফলে সাফল্যতা অর্জন করায় তাদেরকে চেক প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, মেধাবী প্রজন্ম আগামী দিনে দেশ গড়ার দায়িত্ব নেবে। মেধাবীরা একটি দেশের সম্পদ। মেধা কোনোভাবেই চেপে রাখা যায় না। শত প্রতিকূলতার মাঝেও বিকাশিত হবে। তাই মেধাবীমুখ যেন ঝরে ঝড়ে না পড়ে সেদিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে উচ্চশিক্ষা ছাড়া মেধাবী জাতি গঠন হতে পারে না।

গতকাল সোমবার বিকেল ৫টায় নিজ কার্যালয় থেকে কেরুজ শিক্ষা সেচ তহবিলের জেলা প্রশাসকের ডিসক্রেশনারি ফান্ড থেকে এসব শিক্ষার্থীদের হাতে নগদ অর্থের চেক তুলে দেয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক আঞ্জুমানারা বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুর রাজ্জাক, চুয়াডাঙ্গা সদর কমিশনার ভূমি পুলক কুমার মণ্ডল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, এনডিসি তরিকুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, জেলা আ.লীগের মহিলা বিষয়ক সভাপতি কোহিনুর বেগম, কেরুজ অফিস হিসাব সহকারী কাজী সাইদুল ইসলাম বাদশা, দৈনিক মাথাভাঙ্গার আলমডাঙ্গা ব্যুরো প্রধান রহমান মুকুল, সহকারী ব্যুরো প্রধান শরিফুল ইসলাম রোকন, স্টাফ রিপোর্টার আলম আশরাফ, বেগমপুর প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুদান প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- চুয়াডাঙ্গা সদরের উজলপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে ইসলামুল হক, আলমডাঙ্গার ইউনুচের দু মেয়ে ঈশিতা আক্তার বিথি ও নিশিতা আক্তার তিথি, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সেলিম মোল্লার দু ছেলে তাজুল ইসলাম ও সুজন আলী, আব্দুল লতিফের ছেলে মানিক। এদের মধ্যে- ইসলামুল, বিথি ও তিথি ৩ হাজার টাকা করে। বাকিরা ২ হাজার টাকা করে। এ সময় জেলা প্রশাসক মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় যে সমস্ত প্রতিবেদক তাদের শিক্ষা ও সাফল্যের জীবনচিত্র তুলে ধরেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের উজলপুর গ্রামের হতদরিদ্র পরিবার মজিবর রহমানের ছেলে দর্শনা কেরুজ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ইসলামুল হক গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে, আলমডাঙ্গায় পিতার লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিয়েও তিথি ও বিথি সাফল্য অর্জন করেছে।