খাদ্য সঙ্কট যুদ্ধ ডেকে আনবে

মাথাভাঙ্গা মনিটর: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা মোকাবেলা ও খাদ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্বের ভূমিকা নিতে হবে, দর্শকের ভূমিকা নয়। ইতালির মিলানে ‘সিডস অ্যান্ড চিপস-গ্লোবাল ফুড ইনোভেশন সামিটে দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেছেন। ৩ দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্য উত্পাদন থেকে বিতরণ পর্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এবারের সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২০০ এর বেশি বক্তা অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে মূল বক্তব্য প্রদানের পাশাপাশি ওবামা হোয়াইট হাউসের সাবেক সিনিয়র খাদ্য নীতি উপদেষ্টা স্যাম ক্যাসের সঙ্গে এই আলোচনা পর্বেও অংশ নেবেন ওবামা।

গতকাল মঙ্গলবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওবামা খাদ্য সঙ্কট, সমস্যা, পরিণতি ও সমাধানের উপায় নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি খাদ্য উত্পাদনের ক্ষেত্রে অন্যতম চ্যালেঞ্জ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র সঠিক নির্দেশনার পথেই এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর বিদেশে প্রথম ভাষণে ওবামা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কারণ এর খরচ কম। ব্যবসায়ীরা একটি বিষয়ে একমত যে, মানুষের ভবিষ্যত এই পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতেই নিহিত রয়েছে। এখন এই জ্বালানিতেই বিনিয়োগ বাড়ছে।

নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওবামা প্রশাসনের জলবায়ু নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে। যে কারণে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় করা প্যারিস চুক্তি হুমকির মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে ওবামা বলেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।  জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে সীমিত সম্পদ দিয়ে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য খাদ্য উত্পাদন ও সরবরাহ  চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। মিলানের খাদ্য উদ্ভাবন সম্মেলনে এসব চ্যালেঞ্জের নানা দিক তুলে ধরে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হবে। একইসঙ্গে নতুন খাদ্য উত্পাদনের কৌশল, পুষ্টি থেকে খাদ্য নিরাপত্তা এবং সুস্বাস্থ্যেন অধিকার এবং খাদ্যে সকলের টেকসই ও প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়গুলোতে এবারের সম্মেলনে জোর দেয়া হবে।

সম্মেলনের আয়োজক সিডস অ্যান্ড চিপস’র প্রতিষ্ঠাতা মার্কো গুয়োলটিয়েরি বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সামনে এগিয়ে নেয়া আমাদের দায়িত্ব। বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বড় চ্যালেঞ্জ ঠেকাতে আমাদের সমাধানের উপায় খুঁজতে হবে।