ওমানে নিপীড়নের শিকার আকলিমার শয্যা পাশে মেয়র : মামলার প্রস্তুতি : অভিযুক্ত আসমার ভিন্নমত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের গাড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ার আসমাসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রতারিত আকলিমা খাতুন। তিনি ওমানে অবর্ণনীয় নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে বাড়ি ফিরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল তাকে দেখতে হাসপাতালের শয্যাপাশে দাঁড়ান চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু।

এদিকে নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত আসমা খাতুন গতকাল মোবাইলফোনে বলেছেন, আকলিমাকে আমি জোর করে বা ফুঁসলিয়ে বিদেশে পাঠাইনি। আমাকে বার বার অনুরোধ করার পর সব কিছু তাকে খুলে বলেই ওমানে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। মেডিকেলসহ হাতের টিপ রেজিস্ট্রেশনও করানো হয়েছিলো। এতে আমার দোষ কোথায়?

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের গাড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ার আকলিমা এক কন্যার জননী। ১৫ বছরের দাম্পত্য দু বছর আগে বিচ্ছেদ হয়। এরপর তিনি তার প্রতিবেশী আজির বক্সের মেয়ে আসমার মাধ্যমে দেড়লাখ টাকা দিয়ে ওমানে পাড়ি জমান। সেখানে ভালোবেতেনে ভালো চাকরির বদলে জোটে অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়ন। নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার আকুতি জানালে ওমানের ব্যারাক থেকে বলা হয়, তোমাকে বিক্রি করা হয়েছে। টাকা দিয়ে কিনেছি। এখন দেশে ফিরতে হলে টাকা দিয়েই ফিরতে হবে। পরে পরিবারের সদস্যরা ২ লাখ টাকা আসমার মাধ্যমেই দিতে বাধ্য হয়। অবশেষে গত ৪ মে আকলিমা দেশে ফেরেন। পরদিন ৫ মে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর অসুস্থ আকলিমা খাতুন হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে আসমাসহ তার সহযোগী রিপন, জালাল ও দেলোয়ারের নানা ছলচাতুরিসহ কিভাবে বিদেশের দালালদের কাছে বিক্রি করেছে তার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গতকাল এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।  গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অসুস্থ আকলিমাকে দেখতে হাসপাতালে হাজির হন চুয়াডাঙ্গা  পৌর মেয়র। তিনি  অসুস্থ আকলিমার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং ওষুধপথ্য কিনে দেয়া ও আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় মেয়রের সাথে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জানিফ ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান কাওছার।