রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতি ছাড়া ইভিএম নয় : সিইসি

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, সব রাজনৈতিক দলের বিশ্বস্ততা অর্জন এবং দলগুলোর সম্মতি পেলেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। দলগুলোর রাজি না হলে ইভিএম ব্যবহূত হবে না। একাদশ সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ইভিএম’র মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করতে চাইলে তিনলাখ মেশিনের প্রয়োজন হবে। রাজনৈতিক দল ও সরকারের সম্মতি পেলে নির্বাচনের আগেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে এসব মেশিন সংগ্রহ করা সম্ভব। গত বৃহস্পতিবার ইসি সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইসির সঙ্গে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের পরিচিতি অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন। এর আগে ইসি ইভিএম নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ইভিএমের ব্যবহার তুলে ধরা হয়। আরএফইডির সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এ সংগঠনের জন্য নির্বাচন ভবনে স্থায়ী কক্ষ বরাদ্দ ও সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন। তবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু কক্ষে সাংবাদিকসহ অন্যদের অবাধ গমনাগমন সংরক্ষিত থাকবে।

সিইসি বলেন, আগে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বিষয়টি ছিল, কিন্তু এখন ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) কনসেপ্ট চলে এসেছে। তা যে নামেই হোক না কেন, প্রযুক্তিটি সবার কাছে আগে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ডিভিএম নিয়ে আমাদের ভাবনা চলছে। পরীক্ষামূলকভাবে ছোট ছোট নির্বাচনে ব্যবহারের পর রাজনৈতিক দলসহ সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা পেলেই এর ব্যবহার করা হবে। আমরা কারো ওপর এটা চাপিয়ে দিতে চাই না। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সংলাপের পরিকল্পনা রয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেই রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের সঙ্গে সংলাপের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। রমজানের পরে রোডম্যাপ চূড়ান্ত হবে। আরএফইডি সভাপতি সোমা ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান ও পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামানসহ প্রায় শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।