বিশ্ব টুকিটাকি : বাইরে গুলি-বোমাবাজি, ভেতরে তাসে মত্ত পুলিশ!

বাইরে গুলিবোমাবাজি, ভেতরে তাসে মত্ত পুলিশ!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদীয়া ও হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে পুলিশকে কড়া হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সে পরামর্শ পুলিশ যে মান্য করছে না তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। ডোমকলের বিরোধী ও ভোটারদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, চোখের সামনে গণ্ডগোল, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট দেখেও চুপ থাকলো পুলিশ। বিপদের সময় বহুবার ডেকেও পুলিশের সাড়া মেলেনি। অবাক ডোমকলের প্রশ্ন, এ পুলিশ কেমন পুলিশ? ডোমকলের ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টি ওয়ার্ডেই গণ্ডগোল হয়েছে। অভিযোগ, বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে দুষ্কৃতীকারীদের। বুথ থেকে বিরোধী এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়েছে। হুমকি দেয়া হয়েছে ভোটারদের। অথচ পুলিশকে বলতে গেলে শুনতে হয়েছে- ভোটে তো এমন টুকটাক ঘটনা ঘটেই থাকে। আপনি কেন ঝামেলায় জড়াচ্ছেন? ডোমকলের প্রশাসনিক ভবনে তাস খেলতে দেখা গেছে পুরুষ পুলিশদের। অন্যদিকে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনেছেন নারী পুলিশ কনস্টেবলরা।

 

মধ্য ডানপন্থি এদুয়ার্দ ফিলিপকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন ম্যাক্রোন

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মধ্য ডানপন্থি এদুয়ার্দ ফিলিপকে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন দেশটির নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোন। ফিলিপ ম্যাক্রোনের দল লা রিপাবলিক এন মার্শের সদস্য নন, তিনি মধ্য ডানপন্থি রিপাবলিকান দলের। এই মধ্যপন্থিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয়ার মাধ্যমে ম্যাক্রোন ডান ও বাম উভয় পন্থার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্রশাসনে নিয়ে আসার ইঙ্গিত দিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পদে কে আসছেন সেটা নিয়ে দিনভর বেশ জল্পনা-কল্পনা চলেছে। তবে সবার মধ্যে এগিয়ে ছিলেন লি হাভরে শহরের মেয়র এদুয়ার্দ ফিলিপ। তিনি রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়নে রানার আপ আলাইন ইয়ুপ্পের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন আগামী মাসের সংসদীয় নির্বাচনে কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন। নিজের অর্থনৈতিক পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত করতে তার মধ্য ডানপন্থিদের সমর্থন প্রয়োজন। তার নতুন দল লা রিপাবলিক এন মার্শে গত সপ্তাহে জুনের সংসদীয় নির্বাচনে ৪২৮ মনোনীত সদস্যের নাম ঘোষণা করেছে যাদের অর্ধেকের বেশি নারী। এদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ বর্তমান সংসদের সদস্য ছিলেন এবং এদের সবাই বামপন্থি সোশ্যালিস্ট দলের সদস্য ছিলেন।

 

মাথা ঝুঁকে মোবাইল ব্যবহারে মেরুদণ্ডের ক্ষতি

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মোবাইল ডিভাইসগুলো এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী, বার্তা আদান প্রদান, ইন্টারনেট ব্রাউজিংসহ বিভিন্ন কারণের দিনের অনেকটা সময় কেটে যায় মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্রমাগত মোবাইল স্ক্রিনে মাথা ঝুঁকে তাকিয়ে থাকা মেরুদণ্ডের জন্য ক্ষতিকর। নিউইয়র্কের স্পাইন সার্জারি ও রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিনের মেরুদণ্ড অস্ত্রোপচার বিভাগের প্রধান ড. কেনেথ হংসরাজের গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। মেরুদণ্ডে মাথার নাড়াচাড়ায় কি প্রভাব পরে সেটা মূল্যায়নে তার গবেষণা মার্কিন ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়, বেশির ভাগ মানুষ মোবাইলে বার্তা আদান প্রদানের সময় একটু ঝুঁকে পড়ে। যখন মাথা সোজা থাকে তখন মেরুদণ্ডের ওপর ১০ থেকে ১২ পাউন্ড চাপ পড়ে যা একটি স্বাভাবিক মানুষের মাথার ওজনের সমান। কিন্তু মাথা ঝুঁকে আসলে মেরুদণ্ডের ওপর চাপ বৃদ্ধি পায়। মাথা ১৫ ডিগ্রি ঝুঁকে পড়লে মেরুদণ্ডে প্রায় ২৭ পাউন্ড চাপ পড়ে, ৩০ ডিগ্রি কোণে পড়ে ৪০ পাউন্ড, ৪৫ ডিগ্রি কোণে ৪৯ পাউন্ড এবং ৬০ ডিগ্রি কোণে মাথা ঝুঁকে পড়লে মেরুদণ্ডে ৬০ পাউন্ড চাপ পড়ে। টেক্সট নেক বা বার্তা আদান প্রদানের সময় ঝুঁকে পড়ার প্রবণতায় মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।