আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে টিসিবির খাদ্য সামগ্রী উত্তোলন না করায় চুয়াডাঙ্গায় ১১ ডিলারের লাইসেন্স বাতিলের দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা

স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) খাদ্য সামগ্রী এবারও চুয়াডাঙ্গার ১১ জন ডিলারের কেউ উত্তোলন না করায় বঞ্চিত হচ্ছে নিম্নবিত্ত মানুষেরা। ন্যায্যমূল্যে টিসিবির দ্রব্য সামগ্রী খোলা বাজারে পাওয়া গেলে কিছুটা হলেও উপকৃত হতো দরিদ্ররা। দীর্ঘদিন ধরে পণ্য উত্তোলন না করায় অবিলম্বে ১১  ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করে নতুন করে ডিলার নিয়োগের দাবি করেছে নিম্নআয়ের মানুষেরা। এ বিষয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১১ জন ডিলার নিয়োগ থাকলেও কেউই ব্যবসায় সক্রিয় নয়। ফলে চুয়াডাঙ্গার হতদরিদ্রত মানুষেরা পবিত্র রমজান উপলক্ষে সরকারের কর্মসূচির সুফল থেকে প্রতি বছর বঞ্চিত হচ্ছে। এসব নামধারী ব্যবসায়ীদের নাম ডিলারের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের ডিলার নিয়োগ দিতে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। নিয়োগকৃত ডিলাররা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারের আজিজুল হক, তালতলার আব্দুর রশিদ, জীবননগরের সাগর কুমার বিশ্বাস ও চ্যাংখালী রোডের সাইদুর রহমান, আলমডাঙ্গার কাকুলী ট্রেডার্স, আলম ট্রেডার্স ও হেলাল ট্রেডার্স, দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের নিতুন ট্রেডার্স ও দর্শনা রেলবাজারের আব্দুস ছাত্তার, দামুড়হুদা জুড়ানপুরের মোখলেছুর এন্টারপ্রাইজ ও দশমীর জব্বার এন্টারপ্রাইজ।
টিসিবির পণ্য বাজার মূল্যে থেকে দাম কম হওয়ায় দরিদ্র মানুষরো প্রতি বছর অপেক্ষায় থাকেন। টিসিবির চিনি প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৮০ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা এবং সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। অথচ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলার দরিদ্র মানুষেরা। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কেদারগঞ্জপাড়ার শহিদুল ইসলাম বলেন, টিসিবির পণ্য যদি জেলাবাসী নাই পেয়ে থাকে তাহলে এসব ডিলারদের রেখে লাভ কি? অবিলম্বে তাদের সরিয়ে দিয়ে নতুন ডিলার নিয়োগ দেয়া উচিত। চুয়াডাঙ্গা চেম্বারস অব কমার্সের সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক বলেন, ডিলাররা সক্রিয় নয় বিষয়টি জানা রয়েছে। কিভাবে নতুন ডিলার নিয়োগ দেয়া যায় বিষয়টি দেখা হবে।