চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের সাগান্নায় ইটভাটার মাটি পড়ে সৃষ্ট মৃত্যুকুপে দূরপাল্লার কোচ : সুপারভাইজারসহ আহত কমপক্ষে ১০

স্টাফ রিপোর্টার: ইটভটার মাটি রাস্তায় পড়ে আবারও বড়ধরনের প্রাণহানির আশঙ্কা ফুঁটে উঠেছে। চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা বা চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের পর এবার চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের সাগান্নায় ইটভার নিকট সৃষ্টি হয়েছে মৃত্যুকুপ। এ ফাঁদে পড়ে গতকাল সোমবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের বেশ ক’জন যাত্রী আহত হয়েছেন। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন কোচের চালকসহ সকল যাত্রী।
জানা গেছে, গতকাল ভোর সাড়ে ৪টায় চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের একটি কোচ ঢাকার উদ্দেশে চুয়াডাঙ্গা ত্যাগ করে। কোচটি ঝিনাইদহের সাগান্নার নিকটস্থ ইটভাটার সামনে পৌঁছুলে বিপরীতমুখি একটি ট্রাক লং লাইট দিয়ে ছুটতে থাকে। এ সময় কোচ চালক নিয়ন্ত্রণ হারায়। কোচটি ধাক্কা দেয় একটি গাছের সাথে। দুর্ঘটনার শিকার কোচের যাত্রীরা  বলেছেন, রাস্তায় ছ্যাত ছেতে কাদা দেখেও চালক বেপরওয়া গতিতে চালাচ্ছিলো। বিপরীতমুখি কোচের আলো চোখে পড়তেই চালক কোচের গতি কমানোর চেষ্টা করেন। এতেই ঘটে বিপত্তি। কোচ ঘুরে আছড়ে পড়ে গাছের সাথে। পশেই ছিলো বড় খাদ। ভাগ্যিস খাদে পড়েনি গড়ি। প্রাণহানিও হয়নি। আহত হয়েছেন কোচের সুপারভাইজার চুয়াডাঙ্গা মাস্টারপাড়ার টোটন, বাদুরতলার মাহবুবুর রহমানের ছেলে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মাহফুজ ও সিনেমা হলপাড়ার বাসিন্দা প্রিন্স প্লাজার ছোঁয়া গামেন্টের সত্তাধিকারী আব্দুল আজিজ মুকুলসহ কমপক্ষে ১০জন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে উদ্ধার করে মাইক্রোযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। অন্যরা চিকিৎসা নেন ঝিনাইদহের ক্লিনিকে।
প্রসঙ্গত, রাস্তার পাশে ইটভাটা। এসব ইটভাটায় লাটাহাম্বারসহ নানা প্রকারের  বৈধ-অবৈধ যানযোগে মাটি আনা হয়। ওই ইট তৈরির এটেল মাটি পড়ে পিচের রাস্তায়। মাটিতে বৃষ্টির পানি পড়তেই রাস্তা হয়ে ওঠে মৃত্যুফাঁদ। চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি সড়কে এ মৃত্যুফাঁদে অনেকের প্রাণ ঝরেছে। এবার বড়ধরণের রক্তের বন্যা বয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের সাগ্নার ইটভাটার নিকট।