চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপিতে ষাটোর্ধ্ব বয়সী নারীর রহস্যজনক মৃত্যূ : সতীন ও পুত্রবধূ আটক

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের গাড়াইটুপি গ্রামে ষাটোর্ধ্ব বয়সী এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। হত্যা না কি আত্মহত্যা তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রুজালের। মহিলার মৃত্যু নিয়ে অসঙ্গতি কথাবার্তা ওঠায় পুলিশ সন্দেহজনকভাবে সতীন এবং পুত্রবধূকে আটক করেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে গড়াইটুপি গ্রামের বাতাসে ভাসছে নানা কথা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করে।
হাসাপাতাল ও গ্রামসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়নের গড়াইটুপি গ্রামের মসজিদপাড়ার প্রাইমারি স্কুলের অবসপ্রাপ্ত শিক্ষক লাল মোহাম্মদের প্রথম স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৬০) গতকাল বুধবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ দাফনের জন্য শুরু হয় তদবির। পুলিশ দুপুরের দিকে আত্মহত্যাকারীর লাশের সুরতহাল করতে এসে অনেকের সাথেই কথা বলেন। পুলিশ জানায়, বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলতে গিয়ে অসঙ্গতি সব কথাবার্ত বেরিয়ে আসে। প্রথমে প্রচার করা হয় মনোয়ারা স্ট্রোক করে মারা গেছেন। কেউ বলে পরনের কাপড় দিয়ে ঘরের বৈদ্যুতিক পাখার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আবার কেউই বলে বাড়ির পাশে কাঁঠাল গাছের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মনোয়ারার মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয় ধুম্রুজালের। ময়নাতদন্ত শেষে গতকালই রাত ১০টার দিকে নিহতের দাফন সম্পন্ন হয়।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ লাল মোহাম্মদের দ্বিতীয় স্ত্রী শাহেরা বেগম এবং ছোট ছেলের স্ত্রী হ্যাপিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটকৃত শাহেরা বেগম ও হ্যাপিকে তিতুদহ ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেনের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। এ ঘটনায় নিহতের নিকটাত্মীয় আবুল কালাম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। তবে মনোয়ারার মৃত্যু নিয়ে যতো কথাই থাকুক না কেন ডাক্তারি রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এদিকে গ্রামসূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাতে ছেলের স্ত্রী হ্যাপি চুয়াডাঙ্গা থেকে গড়াইটুপি গ্রামের বাড়িতে আসে এবং স্ত্রী-শাশুড়ির মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়।