আইপিএল কোচদেরও এত বেতন!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: শুধু খেলোয়াড় নয়, আইপিএল কোটিপতি বানিয়ে দিয়েছে কোচদেরও। আইপিএলে কোচ বা পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন- এমন কয়েকজনের বেতনের অঙ্ক চোখ কপালে তুলে দেয়ার মতো। খেলোয়াড়দের নিলাম প্রকাশ্যে হয় বলে তাদের অঙ্কটা সহজে জানা যায়। তবে কোচদের সঙ্গে দলগুলোর চুক্তি সেভাবে সংবাদমাধ্যমে আসে না। টাইমস অব ইন্ডিয়া এবার কোচদের বেতনের অঙ্ক ফাঁস করে দিয়েছে। ২০০৮ সালে যখন আইপিএল শুরু হয়, এক ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচের বেতন ছিল ৪০ লাখ রুপি। দশম আসরে এসে সবচেয়ে কম বেতন পাওয়া কোচের অঙ্কটাই দাঁড়িয়েছে ৭০ লাখ রুপি। সেটা পান গুজরাট লায়নসের হয়ে কাজ করা ব্র্যাড হজ। আর সবচেয়ে বেশি পান রাহুল দ্রাবিড়। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের মেন্টর হিসেবে কাজ করা দ্রাবিড় পান সাড়ে চার কোটি রুপি। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মেন্টর হিসেবে কাজ করার সময় রিকি পন্টিং প্রায় একই অঙ্কের বেতন পেতেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি আর কোলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর জ্যাক ক্যালিস সাড়ে তিন কোটি রুপি করে পান। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে কাজ করা বীরেন্দর শেবাগ, মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মাহেলা জয়াবর্ধনে, গতবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে চ্যাম্পিয়ন বানানো টম মুডি, পুনে সুপার জায়ান্টসের হয়ে কাজ করা স্টিভেন ফ্লেমিংরা ২ কোটি ৩০ লাখ থেকে ৩ কোটি রুপির মতো পেয়ে থাকেন। এও জানা গেছে, কার্যত মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে তেমন কোনো কাজ করতে হয় না শচীন টেন্ডুলকারকে। তবু তিনি দ্রাবিড়ের চেয়ে বেশি সম্মানী পান। মাত্র দুই মাস কাজ করেই এত টাকা, মন্দ কী! ক্রিকেট দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া কোচ অবশ্য আইপিএলের কেউ নন। সেই নামটি অনিল কুম্বলে। ভারতের কোচ বিসিসিআইয়ের কাছে নতুন যে দাবি তুলেছেন, সেটা পূরণ হলে বছরে আট কোটি রুপির মতো পাবেন সাবেক এই অধিনায়ক!