চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বিদ্যুত পরিস্থিতির ক্রমাবনতিতে ক্ষোভে বারুদের মতো ফুঁসছে মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার: প্রচ- গরম ও অসহনীয় দাবদাহে জ্বলছে নগর জীবন। তপ্ত হয়ে উঠেছে রাস্তা-ঘাট। রোদে খাঁ-খাঁ করছে সড়ক জনপদ। বাইরে বের হলেই মনে হচ্ছে অগ্নিকুু-। গরম বাতাস শরীরে বিঁধছে আগুনের হলকার মতো। দুঃসহ গরমে মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরও হাঁসফাঁস অবস্থা। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে শনিবার থেকে শুরু হওয়া দাবদাহের কারণে এই উচ্চ তাপমাত্রা আরো কিছুদিন বহাল থাকবে। এ অবস্থায় বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিঙে চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের গ্রাহক সাধারণ বিষিয়ে উঠেছে। জ্বøলছে ক্ষোভের আগুনে। বিদ্যুতের দাবিতে পরশু মেহেরপুরে মিছিল হলেও চুয়াডাঙ্গা ঝিনাইদহে যেকোনো সময় মিছিল বের হতে পারে বলে একাধিকসূত্র জানিয়ে বলেছে, মহল্লাভিত্তিক মিছিল বের করার প্রক্রিয়া চলছে।
চুয়াডাঙ্গায় গতকালও ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুতের লোডশেডিং দিতে হয়েছে। গ্রিড সাবস্টেশনে যে বিদ্যুত দেয়া হচ্ছে তা থেকে প্রায় সবই দিতে হচ্ছে মেহেরপুর পল্লি বিদ্যুতের ফিডারে। ওজোপাডিকো চুয়াডাঙ্গা বিতরণ কেন্দ্রে চাহিদার অর্ধেকও সরবরাহ দেয়া হচ্ছে না। ফলে এক ঘণ্টা বিদ্যুত দিয়ে দেড় ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। পালাক্রমে ফিডারগুলোতে বিদ্যুত সরবরাহের কারণে গ্রাহকরাই শুধু ফুঁসছেন না, ক্ষুদ্র কারখানাগুলোর উৎপাদনে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে। এসব ক্ষুদ্র কারখানার মালিকদের অনেকেই দেউলিয়া হওয়ার শঙ্কায় চরম অনিশ্চয়তার দিন কাটাচ্ছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বিদ্যুতের লোডশেডিং সহ্য করতে না পেরে রোগী ও রোগীর লোকজন ওয়ার্ড ছেড়ে ফাঁকা মাঠে ভবনের ছায়ায় বিছানা পেড়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভ্যাপসা গরমে হাসপাতালের রোগীদের এ করুণ চিত্র দেখে অনেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, এরপরও কি বিদ্যুত বিভাগের লোকজনের একটু চুয়াডাঙ্গার ওপর দয়া হবে না? অপরদিকে মেহেরপুরেও অভিন্ন দশা। ঝিনাইদহের মহেশপুর ও ঝিনাইদহ জেলা শহরেও ভ্যাপসা গরমে ভয়াবহ পরিস্থতির চিত্র ফুটে উঠেছে। গরমে জরুরি কাজ না থাকলে তেমন কেউই দুপুরে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। বাড়িতে বসেও কি স্বস্তি আছে? বিদ্যুত সেই স্বস্তি কেড়ে নিয়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে রংপুরে ৯৯ মিলিমিটার। উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে আবার বৃষ্টি হবে কবে? নিশ্চিত করে বলতে পারেননি আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
ঝনিাইদহ প্রতনিধিি জানয়িছেনে, ঝনিাইদহে একতেো প্রচণ্ড তাপদাহ তার ওপর বদ্যিুতরে ভয়াবহ লোডশডেংি। এই দুইয়ে ঝনিাইদহরে মানুষ হাঁপয়িে উঠছে।ে বপিাকে পড়ছেে ঝনিাইদহ জলোর প্রায় সাড়ে তনি লাখ বদ্যিুত গ্রাহক। কলকারখানা বন্ধ থাকছে প্রায় সময়। সচে কাজে পাওয়া যাচ্ছে না বদ্যিুত। স্থানীয় পত্রকিা প্রকাশে ঘটছে বপিত্ত।ি গরমে মানুষরে প্রাণ ওষ্ঠাগত। মানুষ ও প্রাণকিূল সব যনে হাঁসফাঁস করছ।ে বশেরি ভাগ সময় বদ্যিুত না থাকায় কোন প্রশান্তি মলিছে না। নইে আরামদায়ক কোন পরবিশে। ঘনঘন এই লোডশডেংি অতীতরে সব রর্কেড ভঙ্গ করছে।ে আগরে দনিে এতো গরম পড়নেি বলে মানুষ লোডশডেংিয়রে জ্বালা বুঝতো না এমন কথা বলাবলি করছে মানুষ। জনমনে প্রশ্ন উঠছেে কনে এই ভয়াবহ লোডশডেংি? অনুসন্ধান করে জানা গছে,ে বদ্যিুত কন্দ্রেে ত্রুটরি কারণে উৎপাদন কম হচ্ছ।ে ফলে গ্রডিগুলোকে লোডসডেংি করে পরস্তিতিি সামাল দতিে হচ্ছ।ে সইে সাথে নরসংিদী জলোয় বদ্যৈুতকি একটি বড় টাউয়ার ভঙেে পড়ার কারণে জাতীয় গ্রডিরে সাথে গোটা দক্ষণিাঞ্চল বচ্ছিন্নি রয়ছে।ে এই দুটি কারণে দশেরে ৩২টি জলোয় চলছে স্মরণকালরে ভয়াবহ লোডসডেংি। তথ্য নয়িে জানা গছে,ে ঝনিাইদহ জলোয় পল্লী বদ্যিুতরে গ্রাহক রয়ছেনে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪২১। অন্যদকিে ওয়স্টেজোন পাউয়ার ডস্ট্রিবিউিশন (ওজোপাডকিো) এর গোটা জলোয় গ্রাহক সংখ্যা প্রায় এক লাখ। পল্লী বদ্যিুত ও ওজোপাডকিো মলিে মোট গ্রাহক হবে সাড়ে তনি লাখরে ওপর।ে এ সব গ্রাহকদরে চাহদিা মটোতে প্রতদিনি ঝনিাইদহ জলোয় বদ্যিুত দরকার নব্বই মগোওয়াট।
ঝনিাইদহ পল্লী বদ্যিুতরে জএিম প্রকৌশলী আলতাফ হোসনে জানান, পল্লী বদ্যিুতরে যে গ্রাহক রয়ছেে তাতে নরিবচ্ছিন্নি বদ্যিুত দতিে ৫৫ মগোওয়াট বরাদ্দ প্রয়োজন হয়। কন্তিু দয়ো হয় ১৮ থকেে ২০ মগোওয়াট। এই বরাদ্দ দয়িে ফডিারগুলো র্সবক্ষণ চালু রাখা সম্ভব নয়। যে কারণে নরিুপায় হয়ে লোডসডেংি করতে হয়। তনিি বলনে, গ্রাহকরা মনে করনে বদ্যিুত আটকে রখেে তাদরে বঞ্চতি করা হচ্ছ।ে কন্তিু আসলে বদ্যিুত যখনই উৎপাদন তখনই সরবরাহ করতে হয়। ভ্রান্ত ধারণার কারণে গ্রামাঞ্চলে পল্লী বদ্যিুতরে র্কমীদরে নাজহোল এমনকি মারধর করা হচ্ছ।ে তনিি বলনে, বদ্যিুত উৎপাদন ও ভঙেপেড়া টাউয়ার মরোমত হলে পরস্থিতি অনকেটা স্বাভাবকি হতে পার।ে বষিয়টি নয়িে ঝনিাইদহ ওজোপাডকিোর নর্বিাহী প্রকৌশলী শহদিুল ইসলাম জানান, আমরা গ্রাহকদরে সবো দতিে কোনো র্কাপণ্য করি না। বদ্যিুতরে চাহদিা মটোতে না পারলে আমাদরে করার কছিুই নইে। তনিি বলনে ওজোপাডকিোর চাহদিা যা ছলিো দনিকে দনি তা বাড়ছ।ে গ্রাহকদরে বুঝতে হবে বদ্যিুত আটকে রাখার জনিসি নয়। তনিি বলনে, পকি আওয়ারে আমাদরে চাহদিা ৪২ আর অপপকি আওয়ারে ৩০। কন্তিু এর বপিরীতে পকি আওয়ারে ২২ ও অফ পকিে ৩০ মগোওয়াট বদ্যিুত সরবরাহ করা হয়।
মহশেপুর প্রতনিধিি জানয়িছেনে, ভয়াভহ লোডশডেংি আর প্রচণ্ড গরমে মহশেপুরসহ জলোবাসীর জনজীবন বর্পিযস্ত হয়ে পড়ছে।ে সকাল থকেে শুরু করে গভীর রাত র্পযন্ত জলোর জনগণ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টা বদ্যিুতবহিীন থাকছ।ে ১ ঘণ্টা অন্তর ২ ঘণ্টা লোডশডেংি দখো দচ্ছি।ে ফলে বপিাকে পড়ছে রোগী, শশিু, অফসি আদালতরে লোকজন, ব্যবসায়ী, শক্ষর্িাথী ও সব শ্রণেরি মানুষ। প্রাপ্তসূত্রে প্রকাশ, মহশেপুরসহ এ অঞ্চলে দনি-েরাতে ১ ঘণ্টা পর পর বদ্যিুত চলে যাচ্ছে আবার আসছে ২-৩ ঘণ্টা পর। অব্যাহত লোশডেঙিরে কারণে ছোট বড় শল্পি কারখানাগুলোতে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছ।ে লোডশডেঙিরে ফলে কোল্ডস্টোরজেগুলো হুমকরি মুখে পড়ছে।ে বদ্যিুত অফসিরে তরফে বলা হয়ছে,ে সদ্ধিরিগঞ্জ পার হাউজরে বদ্যিুত জাতীয় গ্রডি লাইনে সরবরাহরে বঘ্নি ঘটায় উত্তরবঙ্গরে বদ্যিুতরে চাহদিা এখন দক্ষণি-পশ্চমিাঞ্চল থকেে মটোনো হচ্ছ।ে যে কারণে ভয়াবহ লোডশডেয়িরে কবলে দক্ষণি-পশ্চমিাঞ্চল। এলাকাবাসী প্রধামন্ত্রীর কাছে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান কামনা করছে।ে