লাকমোর্চার সহায়তায় চুয়াডাঙ্গা গুলশানপাড়ার সোহেলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা : আসামিরা ধরা পড়েননি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা গুলশান পাড়ার আশরাফুল আলম সোহেলের স্ত্রী মেহনাজ আক্তার এমেলির দায়ের করা মামলায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। এমেলি গত বৃহস্পতিবার তার স্বামী, শ্বশুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ওইদিন রাতে ওই মামলা করা হয়। এরপর থেকে স্বামী আশরাফুল আলম সোহেল গাঢাকা দিলেও অন্যরা প্রকাশ্যে ঘুরছে বলে বাদী পক্ষ অভিযোগ করেছে।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের বইমেলা লাইব্রেরি মালিক গোলাম মওলা খানের ছেলে আশরাফুল আলম সোহেলের সাথে ২০০৮ সালের ৩ অক্টোবর ঝিনাইদহ জেলার সাগান্না গ্রামের মেহেদী হাসান মুছার মেয়ে মেহনাজ আক্তার এমেলির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই এমেলিকে বিভিন্ন প্রতিকুল অবস্থায় স্বামীর সাথে সংসার করতে হয়। তাদের সংসারে ৬ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই মামলার আসামি সোহেল, তার পিতা গোলাম মওলা খান, সোহেলের মা দোলেনা খাতুন ও সোহেলের ভাই সুভোন বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে এমেলির শরীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। গত বুধবার তারা ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে এমেলিকে মারপিট করে। মারপিটে আহত এমেলি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
তারপরও এমেলি বিষয়টি সন্তোষজনক সমাধানের উদ্দেশ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চার সহযোগিতা নেন। জেলা লোকমোর্চার সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এম শাহজাহান মুকুলের নেতৃত্বে লোকমোর্চার টিম আসামিদের বাড়িতে সরেজমিনে যায় এবং আপস চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে এমেলি চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হাজির হয়ে তার স্বামী-শ্বশুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। চুয়াডাঙ্গা থানা মামলা নং ৫০, তারিখ ১৮-০৫-১৭।
মামলা দায়েরের সময় বাদীর সাথে থানায় উপস্থিত ছিলেন জেলা লোকমোর্চার সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম এম শাহজাহান মুকুল, জেলা লোকমোর্চার নির্বাহী সদস্য সদর উপজেলা মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান কোহিনুর বেগম, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, অ্যাডভোকেট মানিক আকবর, অ্যাডভোকেট হানিফ উদ্দিন, কিশোর কুমার কু-ু, সদর উপজেলা লোকমোর্চার সভাপতি সহিদুল হক বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক পারভীন লাইলা, শাহানা ইউসুফ কেয়া ও লোকমোর্চার সচিব কানিজ সুলতানা। এ ব্যাপারে গতরাতে সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হোসেন দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আসামিদেরকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।