স্কুলছাত্রকে বাটামপেটা করলেন ব্যবসায়ী কবীর

কার্পাসডাঙ্গায় মেয়ের সাথে ফেসবুকে ম্যাসেজ আদান প্রদানের অভিযোগ

স্টাফ রির্পোটার: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় দুই ছাত্র-ছাত্রী ফেসবুকে ম্যাসেজ আদান প্রদান করায় স্কুলছাত্রীর পিতার হাতে মারপিটের শিকার হয়েছে কার্পাসডাঙ্গা বাজারপাড়ার আশরাফুলের ছেলে কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র সোলাইমান। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত হামলাকারী কবীরের শাস্তি দাবি করেছে সচেতন মহল।

জানা গেছে, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কার্পাসডাঙ্গা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী দীর্ঘদিন ফেসবুকের মাধ্যমে ম্যাসেজ আদান প্রদান করে আসছিলো একই ইউনিয়নের কার্পাসডাঙ্গা বাজারপাড়ার আশরাফুলের ছেলে একই শ্রেণির কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র সোলাইমানের সাথে। বিষয়টি মেয়ের বাবা কবীর জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন। গতকাল সোমবার বেলা ৪টার দিকে সোলাইমানকে বাজারে একা পেয়ে কবীর তাকে তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ডেকে নেন। সেখানে বাটাম নিয়ে স্কুলছাত্র সোলাইমানের ওপর হামলে পড়েন তিনি। বেদম পেটানোর ফলে কাহিল হয়ে পড়ে সে। এক পর্যায়ে স্কুলছাত্র সোলাইমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয় পথচারীরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। বাটামের আঘাতে সোলাইমানের ডান পায়ের গোড়ালি কেটে যায়। সেখানে ৫টা সেলাই দেয়া হয়েছে। তাছাড়া সোলাইমানের শরীরে বাটাম দিয়ে আঘাত করার কারনে শরীর ক্ষত বিক্ষত হয়েছে। এদিকে স্কুল ছাত্রীর বাবা কবীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সোলাইমানকে মারা আমার ভুল হয়েছে। বিষয়টি তার বাবাকে আমার বলা উচিত ছিলো। তিনি আরও বলেন ‘আমার মেয়ে আমার ফোন চুরি করে তার কাছে ফেসবুকের মাধ্যমে ম্যাসেজ দিয়েছে। তিনি অন্যের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে বলেন, আমার দোকানের পাশের দোকান মালিক আ.লীগ নেতা মখলেছুর রহমান রিপন আমাকে বলেছিলেন সোলাইমানকে শায়েস্তা বা মারধর করতে।’ এ বিষয়ে মখলেছুর রহমান রিপন জানান ‘স্কুল ছাত্রকে মারধরের জন্য মেয়ের বাবাকে আমি বলিনি। আমি শুধু বলেছি ছেলেটি যদি মেয়েকে বিরক্ত করে বা তাকে যদি কুপ্রস্তাবের কোন ম্যাসেজ দেয় তাহলে তার শাস্তি হওয়া দরকার। এদিকে স্থানীয়রা জানান, নাবালক স্কুলছাত্রকে পেটানোর কারণে কবীরের শাস্তি হওয়া দরকার।