গাংনীতে স্বামী পরিত্যক্তা নারী দেহভোগে অন্তঃসত্ত্বা : পরকীয়া প্রেমিক জামিরুলের গাঢাকা

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী তার প্রেমিক জামিরুলের সাথে মেলামেশায় গর্ভবতী। বিয়ের প্রলোভনে দেহভোগ করলেও বউ হিসেবে ঘরে তুলে নিতে লুকোচুরি করছে জামিরুল। ঘরে তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিকার গর্ভের সন্তান নষ্ট করেছে। অসুস্থ ওই নারী এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযুক্ত জামিরুল ইসলাম কপি ব্যবসায়ী। তিনি সাহারবাটি গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে। জামিরুল ইসলামের ঘরে রয়েছে প্রথম স্ত্রী ও দুই সন্তান। ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাহারবাটি গ্রামের দরিদ্র পরিবারের ওই নারীর বিয়ে হয় সদর উপজেলার একটি গ্রামে। দীর্ঘ পনের বছর দাম্পত্য জীবনে তিন কন্যা সন্তানের জননী। বিয়ের আগে থেকেই জামিরুল ইসলামের সাথে তার প্রেমসম্পর্ক ছিলো। দুজনের সংসার হলেও সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি। তাইতো পনের বছর সংসার করার পর জামিরুলের প্রলোভনে স্বামীর সংসার ছেড়ে পিতার বাড়িতে চলে আসে। পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি জানতে পেরে স্বামী তাকে ডির্ভোস দেন। কিন্তু স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ওই নারী। তালাকের জন্য স্বামীর বিচার চাইলেও তলে তলে জামিরুলের সাথে দৈহিক সম্পর্ক ছিলো তুঙ্গে। সম্প্রতি তিনি অন্তঃসত্ত্বা হলে পড়লে কপালে চিন্তার ভাজ পড়ে।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, দুই বছর ধরে বিয়ের প্রলোভনে জামিরুল তার দেহভোগ করছে। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে না হলেও গোপনে তারা স্বামী-স্ত্রীর মতই ছিলেন। পেটে সন্তান এলে জামিরুলকে বিয়ের জন্য চাপ দেই। কিন্তু জামিরুল গর্ভের সন্তান নষ্ট করলে বিয়ে করবে আশা দেয়। তাই ৭-৮ দিন আগে মেহেরপুর শহরের মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে এক মহিলার মাধ্যমে গর্ভপাত ঘটায়। সেখানে জামিরুল উপস্থিত ছিলেন এবং গর্ভপাত ঘটানোর সব খরচ সে বহন করে। ওই দিন বাড়ি ফিরে তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে জামিরুল।

এদিকে নিরুপায় অসহায় ওই নারী গতকাল সোমবার দুপুরে জামিরুলের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। বিয়ের জন্য চাপ দেন। জামিরুলের স্ত্রীর সাথে ঝগড়া শুরু হয়। দুয়েকের মধ্যে জামিরুল বিয়ে করবে বলে আশা দিলে বাড়ি ফিরে যায় ওই নারী। এ বিষয়টি নিয়ে গ্রামে তোলপাড় চলছে। সবখানেই এখন জামিরুল ও তার পরকীয়া প্রেমিকার সমালোচনা। স্থানীয়রা বলছেন, ঘটনার জন্য দুজনই অপরাধী। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। তবে এ বিষয়ে জামিরুলের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, বিয়ের প্রলোভনে গৃববধূর দেহভোগ হচ্ছে ধর্ষণ। অপরদিকে গর্ভপাত ঘটানোও অপরাধ। এ দুই অপরাধ বিবেচনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।