মিরপুরের ভণ্ড কবিরাজের ভণ্ডামি!

 

মিরপুর অফিস: গ্রামে এখনো ছোটখাটো অসুখের জন্য দ্বারস্থ হয় কবিরাজের কাছে। আর কিছু ভণ্ড কবিরাজরা তাদের সেই দুর্বলতার সুযোগ নেই। ঘরের মধ্যেই কবিরাজির দোকান খুলে বসেছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বাজিতপুরে রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রী নার্গিস। কবিরাজ রবিউল ইসলামের দাবি তিনি সকল ধরনের রোগ নিরাময় করে থাকে। বিশেষ করে মহিলাদের সকল রোগ। তিনি জিন হাজিরের মাধ্যমে রোগের সমাধান দিয়ে থাকেন।

অভিযোগ রয়েছে, এই কবিরাজ ও তার স্ত্রী মিলে এলাকার সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যুবতী মেয়েদের বিভিন্ন রোগের অজুহাত দেখিয়ে রাতে বিশেষ ভাবে রোগ নির্ণয় করে এই কবিরাজ। যদি কোনো যুবতী বা কোনো গৃহবধূ একবার কবিরাজের দ্বারস্থ হয় তাহলে প্রতিমাসেই তার কাছে যাওয়া লাগে। এছাড়া বিভিন্ন ওষুধ দেয়ার নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেই এই কবিরাজ। এই কবিরাজ ও তার স্ত্রীর ভণ্ডামি নিয়ে প্রায় অতিষ্ঠ উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়নবাসী। এই ভণ্ড কবিরাজের অত্যাচারে তারা স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মালিহাদ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই আল-আমিন জানান, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা কবিরাজের বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখানে অনেক মানুষের ভিড় ছিলো। আমরা সকলকে চলে যেতে বলেছি। এর আগেও বেশ কয়েকবার আমরা এই কবিরাজের আস্তানা ভেঙে দিয়েছি। তারপরেও সে এই কাজ করে।

নাম প্রকাশ্যের অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, এই ভণ্ড কবিরাজের কিছুই হয় না। পুলিশ আস্তানা ভেঙে দেয় আবার কয়েকদিন পরে চালু হয়। মালিহাদ ক্যাম্পের পুলিশ বার বার নিষেধ করা স্বত্ত্বেও কিভাবে এই কবিরাজ এই কাজ চালায় তা সাধারণ মানুষের বোধগম্য নয়।