হুমায়ুন বাঙলালের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি পেশ

চুয়াডাঙ্গা প্রভাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী রুবিনা হত্যা মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা রিজিয়া খাতুন প্রভাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবিনাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার মূল আসামি হুমায়ুন বাঙালকে অবিলম্বে গ্রেফতারসহ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি পেশ করেছে মানবতা ফাউন্ডেশন। প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা প্রশাসকের মাধ্যমে পেশ করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের দক্ষিণ গোরস্তানপাড়ার হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে রুবিনা খাতুন প্রভাতী সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। গত ২ মে তাকে হত্যা করা হয়। লাশ তাদের বাড়ির আমগাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে প্রতিবেশী সুদকারকারী প্রতাপশালী হুমায়ুন কবির ওরফে হুমায়ুন বাঙালসহ তার পরিবারের লোকজন। রুবিনার মা চায়না খাতুন গৃহপরিচারিকার কাজ করে বাড়ি ফিরে প্রতিবেশীদের বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েন। ঢাকা থেকে ফেরেন রুবিনার পিতা রবি। তিনি লাশ ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশ রাতে লাশ হেফাজতে নেয়। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়। প্রতিবেশীরা রুবিনা হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করে। এর কয়েকদিনের মাথায় মানবতা ফাউন্ডেশনের আইনি সহায়তায় রুবিনার মা বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় হুমায়ুন বাঙালের স্ত্রীক গ্রেফতার করে। তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনও পুলিশে হাতে দেয়া হয়েছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদেন বলা হলেও ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশের প্রয়োজনীয় অংশ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য কেন প্রেরণ করা হয়নি বলে প্রশ্ন ওঠে। পরে অবশ্য তা প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে মানবতা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ মামলার মূল আসামিকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে মামলার বাদী রুবিনার মা সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সংবাদ সম্মেলন থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করে বলা হয়, নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে আসামি গ্রেফতার করা না হলে মানববন্ধনসহ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হবে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি পেশ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার, ফাউন্ডেশনের নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের সমন্বয়কারী মনিরা আফরোজ, রউফুন নাহার রীনা, তথ্য কর্মকর্তা অ্যাড. নওশের আলী, অ্যাড. কাইজার হোসেন জোয়ার্দ্দার, গণসংযোগ কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দীন হাবলু ও অপারেশন অফিসার অ্যাড. জীল্লুর রহমান জালাল।