বিশাল বাজেট ঘোষণা আজ

 

লাখ ২৬৬ কোটি টাকা রাজস্ব : লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি

স্টাফ রিপোর্টার: নির্বাচন সামনে রেখে আজ চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার ভোটার তুষ্টির বিশাল বাজেট ঘোষণা করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। যদিও রাজস্ব আদায়ে নেয়া হচ্ছে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা। কিন্তু নতুন করে করের বোঝা জনগণের ওপর চাপানো হবে না। সবাইকে খুশি করার প্রচেষ্টা থাকছে এই বাজেটে। জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার আগামী অর্থবছরটি পুরোটাই পাচ্ছে। যে কারণে এ বাজেটে সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের একটি বড় চাপ রয়েছে। এরপরের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের অর্ধেক বাস্তবায়ন করতে পারবে সরকার। কেননা ২০১৮ সালের ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন। ফলে ওই বাজেটে সরকার তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সময় পাবে না। এ কারণে বাজেটে সরকার কোনো পক্ষের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে যেতে চাচ্ছে না। বিশ্বব্যাংক ও আইএফএফসহ ব্যবসায়ীদের নানা শর্তও নমনীয়ভাবে বিবেচনায় নিচ্ছে। আবার ভ্যাট আইনের মতো একটি কঠিন আইন বাস্তবায়নের আগে যথাসম্ভব ছাড় দেয়ার নীতি গ্রহণ করেছে। অর্থমন্ত্র নিজেই বলেছেন, স্বাভাবিক গতিধারায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ১১তম বাজেট হবে তার সর্বশ্রেষ্ঠ বাজেট। বাজেট হবে নির্বাচনপূর্ব বাজেট। সুতরাং সেখানে খুব একটা চাপাচাপি করতে পারবেন না। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, প্রস্তাবিত বাজেটে জনগণের ওপর নতুন করে কোনো করের বোঝা চাপানো হবে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সে বিষয়ে পদক্ষেপ থাকবে।

জানা গেছে, বাজেটে রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে জিডিপির ১২ দশমিক ২ শতাংশ, যা চলতি বছর ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জনসহ ১৭টি বিষয় অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাজেটে। বাড়ছে সব ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও ভাতার পরিমাণ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভর্তুকির পরিমাণও বাড়ানো হচ্ছে। সূত্রমতে, এই বাজেট সরকারের নীতি ও অগ্রাধিকার ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০১০-২০২১’ রচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং এসডিজিতে (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য) নির্ধারিত লক্ষ্য ও অগ্রাধিকারগুলো বাস্তবায়নের প্রতিফলন ঘটানো হবে বাজেটে। চলতি অর্থবছরের ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের সফলতাকে ভিত্তি ধরে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে নতুন বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।

জানতে চাইলে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জনগণকে সন্তুষ্ট করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে এ বাজেটে। সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের ফলনও থাকছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো বাজেটে প্রতিফলিত হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, বাজেটে রাজস্ব বাড়াতে ছয় ধরনের কৌশল নিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে করের পরিধি সম্প্রসারণ, কর অব্যাহতির পরিমাণ হ্রাস, নতুন নতুন ক্ষেত্র শনাক্ত করে করারোপ, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নসহ অটোমেশন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা। এ ছাড়া নন-এনবিআর রাজস্ব আদায়ে হালনাগাদকৃত রেট অনুযায়ী আদায় বাড়ানোর উদ্যোগ, কর ব্যতীত প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ফি ও রেট পুননির্ধারণ প্রক্রিয়া চলমান রেখে সে অনুযায়ী আদায় কার্যক্রম জোরদার করা হবে।

সূত্রমতে, বাজেটের সম্ভাব্য আকার হচ্ছে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা এবং মোট রাজস্ব আয় ২ লাখ ৭১ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা। যা জিডিপির ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। ঘাটতি বাজেটের আকার দাঁড়ায় ১ লাখ ২৯ হাজার ১২ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। মোট রাজস্ব আয়ের মধ্যে এনবিআর কর হচ্ছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ১৭ কোটি টাকা, নন-এনবিআর কর হচ্ছে ৮ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তি ২৭ হাজার কোটি টাকা।

জানা গেছে, বাজেটে ঘাটতি পূরণ করতে ব্যাংকিং ঋণ নেয়া হবে ন্তায় ৪৯ হাজার কোটি টাকা এবং ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে ২৫ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া বৈদেশিক ঋণ নেয়ার সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ও অনুদান ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং ঋণ পরিশোধে ব্যয় হবে ৭ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা। এছাড়া বাজেটে অনুন্নয়ন খাতে ব্যয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। যা জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ১১ দশমিক ১ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা খাতে ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে ৫৭ হাজার কোটি টাকা। ভর্তুকি খাতে ব্যয় হবে সাড়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা। বাকি ব্যয় ধরা হয়েছে দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ, পেনশন গ্র্যাচুইটি, প্রণোদনাসহ আনুষঙ্গিক খাতে। নতুন বাজেটে মানবসম্পদ উন্নয়নসহ ১৭টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে- স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ও দক্ষতা উন্নয়ন, বিদ্যুৎ জ্বালানি, সড়ক, রেলপথ ও বন্দরসহ সার্বিক ভৌতকাঠামা উন্নয়ন। এ ছাড়া কৃষি ও পল্লী উন্নয়নসহ কর্মসৃজনকেও অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। এ বছর জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জনকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সর্বশেষ গুরুত্বের তালিকায় রয়েছে বহির্বিশ্বের অর্থনৈতিক সুযোগ অধিকতর ব্যবহার ও ন্তবাস আয় বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন রপ্তানির বাজার সৃষ্টি।

সূত্রমতে, আগামী অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে ব্যয় বাড়বে ৬ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। এ জন্য এখন পর্যন্ত সম্ভাব্য ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৭ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। এ ছাড়া ভর্তুকি খাতেও ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত এ বরাদ্দ জিডিপির ১ দশমিক ২ শতাংশ। বাজেটের সরকারের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, নতুন বাজেটের জন্য চারটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে দুটি তুলনামূলক নতুন আর দুটি পুরনো হলেও এখনো কিছু করা হয়নি। এগুলো হচ্ছে- রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া, রেমিট্যান্সে ধস, প্রবৃদ্ধি হলেও কর্মসংস্থান না হওয়া এবং কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস ও বিনিয়োগে স্থবিরতা। তিনি বলেন, গত অর্থবছরও রপ্তানি ভালো ছিল। রেমিট্যান্সও এত মহামারী আকারে কমেনি। এ অর্থবছর একদিকে সামষ্টিক চাহিদাকে দুর্বল করছে।

ড. জাহিদ হোসেন বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ স্থবির। বিবিএসের হিসাব যদিও ধরি সেখানে দেখা যাবে বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি দশমিক শূন্য ২ শতাংশ বেড়েছে। এটা এত কম যে হিসাবের ভুলের কারণেও হতে পারে। তাই বলা যায় বিনিয়োগ পুরোপুরি স্থবির। গত অর্থবছর বিনিয়োগ ১ শতাংশ বেড়েছিল। সেটিরও কোনো ব্যাখা নেই। সেসময় প্রাথমিক হিসাবে ছিল ২১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। পরে চূড়ান্ত হিসাবে ২২ দশমিক ৯৯ দেখানো হয়। এর মধ্যে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্কারের অভাব, অবকাঠামো সমস্যা, জ্বালানি সংকট, জমির সংকট ও জটিলতা এবং বন্দর ব্যবহারে অদক্ষতা, দক্ষ শ্রমিকের অভাব ইত্যাদি কারণে বিনিয়োগ হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই দেশে তিন বড় বিনিয়োগকারী বিদেশে বিনিয়োগের আবেদন করেছেন। বেসিক এ সমস্যাগুলো সমাধান করা না গেলে বিনিয়োগ বাড়বে না। এসব সমস্যা সমাধান হলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বাধা হবে না। এক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সেবা কার্যকরভাবে চালু করা উচিত। দিকে ব্যক্তিশ্রেণি আয়করে কিছুটা ছাড় দিয়ে সবাইকে খুশি করার প্রচেষ্টা থাকছে বাজেটে। বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে করপোরেট কর হার কমানো হতে পারে। কিছু খাতে উৎসে কর প্রত্যাহার ও নতুন কিছু খাতকে আওতায় এনে আয়করে পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হচ্ছে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সাধারণ জনগণকে খুশি রাখতে আয়করে ছাড় দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে বাড়ি ভাড়া, যাতায়াত ও চিকিৎসা ভাতা বাদ দিয়ে ব্যক্তিশ্রেণির বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা। পর পর দু্থবছর এ সীমা অপরিবর্তিত রয়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা কারণে ব্যবসায়ীসহ সর্বমহল থেকে বার্ষিক করমুক্ত সীমা বাড়ানোর চাপ রয়েছে। এ অবস্থায় এবারের বাজেটে আয়করে ছাড় দেয়া হচ্ছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আসছে বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির বার্ষিক করমুক্ত সীমা বর্তমানের চেয়ে আরও বাড়িয়ে দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকা থেকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হতে পারে। প্রস্তাবিত করমুক্ত সীমা কার্যকর হলে একজন ব্যক্তির মাসিক আয় ২৩ হাজার টাকা পর্যন্ত কোনো কর দিতে হবে না। এর বেশি আয় হলে প্রযোজ্য হারে কর দিতে হবে। তবে নূ্যনতম কর হার অপরিবর্তিত থাকছে। যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, তিন লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত করা হোক।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির জন্য বর্তমানে করপোরেট কর হার ৩৫ শতাংশ। জানা যায়, আসন্ন বাজেটে এ স্তরে করপোরেট কর হার ২ শতাংশ কমে ৩৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হতে পারে। এনবিআর সূত্র জানায়, বাংলাদেশে বর্তমানে সাতটি স্তরে করপোরেট কর আদায় করা হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ২৫ শতাংশ। করপোরেট করের সবচেয়ে বড় খাত হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। ব্যাংক খাতে বর্তমানে করপোরেট কর হার ৪০ শতাংশ। এই খাতে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। কারণ, কর হার কমালে ব্যাংক খাত থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব কমে যাবে।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, নতুন ভ্যাট আইনটি কর ব্যবস্থার একটি উত্তম চর্চার আইন। এ আইনে সাধারণ মানুষের জন্য নানাভাবে কর ছাড় দেয়া হয়েছে। পণ্য ও সেবা খাতে ভ্যাট অব্যাহতি অনেক বাড়ানো হয়েছে। ভারতে জিএসটিতে ৩ থেকে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত করারোপ করা হলেও বাংলাদেশে তা অনেক কম রাখা হয়েছে। রেয়াত পদ্ধতির মাধ্যমে সাড়ে ৩ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত অব্যাহতির সুযোগ রয়েছে এ আইনে। ব্যবসায়ীদেরও স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে।

এনবিআরের সূত্রমতে, ভ্যাট অব্যাহতিপ্রাপ্ত মৌলিক খাদ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, ডিম, ফল, তরল দুধ, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, মরিচ, মাংস, মুড়ি, চিঁড়া, আলুসহ সব ধরনের সবজি। তবে প্যাকেটজাত ও আড়াই কেজির বেশি হলে তরল দুধ, পেঁয়াজ, রসুন, গম, আটাসহ কিছু ভোগ্যপণ্যে ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে। রুটি ও বিস্কুটসহ সব ধরনের ফাস্টফুড ও বেকারি পণ্যে ভ্যাট প্রযোজ্য হবে। ভ্যাট দিতে হবে আদা, জিরা, লবঙ্গ, ধনিয়া, দারচিনি, এলাচসহ অন্যান্য মসলার আমদানি ও সরবরাহ পর্যায়ে। জীবন রক্ষাকারী হিসেবে ভ্যাট অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্য ও সেবার মধ্যে রয়েছে হাসপাতালের বিছানার ভাড়া, বিভিন্ন ধরনের প্রভিটামিন ও ভিটামিন, ইনসুলিন, সব ধরনের জন্মনিরোধক সামগ্রী, ভ্যাকসিন ফর হিউম্যান মেডিসিন, হেপাটাইটিস সি নিরাময়কারী, হোমিওপ্যাথিক, আয়ুর্বেদিক, ইউনানি ও ভেষজ ওষুধসামগ্রী। কিডনি ডায়ালাইসিস সলিউশন, ক্যান্সার নিরোধক ওষুধ, ম্যালেরিয়া নিরোধক, কুষ্ঠরোগ নিরোধক ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক, কার্ডিওভাসকুলার ওষুধ, অ্যান্টি-হেপাটিক, অ্যান্টি-হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি, বায়োকেমিক ও সাইকিয়াট্রিক ওষুধ, অ্যানেসথেটিক, কিডনি রোগের ওষুধ, বিভিন্ন ধরনের থেরাপি, যন্ত্র ও উপকরণসহ বেশকিছু ওষুধও রাখা হয়েছে ভ্যাট অব্যাহতির তালিকায়। পাশাপাশি চিকিৎসাসহ জনস্বাস্থ্য-সম্পর্কিত ব্যয়কেও ভ্যাটমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন আইনে।