ঝিনাইদহের সীমান্তবর্তী বেগবতি নদীতে আদিম যুগের সাঁকোই এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসা

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ রাজবংশের স্মৃতি বিলুপ্তি হলেও শেষ রাজা প্রমূথ ভূষন দেবরায়ের স্মৃতি বিজড়িত অনেক স্মৃতি সংরক্ষণ করা না হলেও শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের প্রায়ত সা. সম্পাদক অতুল অধিকারীর সাময়িক সংস্কারের ফলে এখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে করেকটি মন্দির। সোনাতন ধর্মালম্বী মানুষের কাছে তীর্থস্থান হিসেবে এই শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মায়ের বাড়ি মন্দিরটি বিশেষভাবে পরিচিতি লাভ করলেও  মূল ফটকের সামনের রাস্তাটি ইট, বালি, পিচের সমন্ময়ে জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকলেও মন্দিরের পেছনের দিকটা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করতে হয় দূর দূরান্ত থেকে আগত মন্দিরের দর্শনার্থী ও এলাকার কর্মজীবি জনসাধারণকে।

ঝিনাইদহ সদর থানা এবং কালীগঞ্জ থানার মধ্যকার সংযোগ স্থানটি বেগবতি নদীর কারণে বিচ্ছিন্ন হলেও বাঁশের সাঁকোই সংযোগকে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে দুই উপজেলার মানুষের ভোগান্তিরও শেষ নেই এই বাঁশের সাঁকোকে ঘিরে। বাঁশের তৈরি সাঁকো বানিয়ে গ্রামবাসী যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখার চেষ্টা করলেও বছরের বেশির ভাগ সময় সাঁকো মেরামতের কাজে ব্যাস্থ রাখতে হয় নিজেদেরকে আর বর্ষা মরসুমে তো কথায় নেই। বেগবতি নদীর ওপর অবস্থিত বাঁশের এই সাঁকোটি দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ার কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সেভাবে গুরুত্ব দেন না । সেতু কর্তপক্ষের সাথে কথা বললে তারা বিষয়টি দেখবেন বলে বার বার এড়িয়ে যান। জনগণের ধারণা জনপ্রতিনিধিদের ঠেলাঠেলি এবং প্রশাসনের গাফিলতির কারণে সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে না। সেতুর অভাবে এলাকার জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হচ্ছে না।

অপরদিকে বছরের পর বছর জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি অফিসে অনেক ধর্ণা দেয়া হলেও কোনো ফল হচ্ছে না। অথচ ভোটের সময়ে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা সেতু করার জোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেও নির্বাচন শেষ হওয়ার পর তা স্বপ্ন হতে থাকে। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মাঝে মাঝে পড়তে হয় বিপদে। তার পরও ঝুঁকিপূর্ণভাবে পার হতে হয় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের। মন্দির কমিটির অর্থায়নে এবং বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে দানের টাকা দিয়ে প্রতিবছর মেরামত করা হয়ে থাকে বাঁশের সাঁকোটি।

স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বললে তারা বলেন, এ স্থানটি সরকারি অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রাজ বংশের ঐতির্য্যের কারণে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে। অথচ আজও আমরা কোনো সেতুর ব্যবস্থা করতে পারলাম না। আর কতো কাল, আমরা ডিজিটাল যুগে বাস করে আদিম যুগের সাঁকো পদ্ধতি অবলম্বন করবো? ঝিনাইদহ সদর থানার নলডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন, এমপি মহোদয়সহ সেতু বিভাগের সাথে কথা বলেছি সবাই আমাকে আশ্বস্থ করেছেন। এই স্থানটিতে সেতু নির্মিত হলে দুই থানার মানুষের স্বপ্নসহ দূরদুরান্ত থেকে আগত মানুষের কষ্ট লাঘব হবে এমনটি প্রত্যাশা করে শান্তিকামী এলাকাবাসী।