যেভাবে মহেশপুরের কাঠগড়া বাঁওড়ের টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাঠগড়া বাওড়ের মৎস্যজীবীদের মাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। মৎস্যজীবীসহ এলাকার শেয়ারদের ৮ লাখ টাকা না দিয়ে বাঁওড়ের হ্যাচারির দায়িত্বে থাকা মুজিবুর রহমান ও ভাটপাড়া গ্রামের আলীবুদ্দিন শেখ লাল এই টাকা আত্মœসাৎ করেছেন। মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর এক লিখিত অভিযোগে কাঠগড়া বাঁওড়ের সাধারণ সম্পাদক ভোলা নাথ এই অভিযোগ করেন।

তিনি লিখিত অবিযোগে উল্লেখ করেছেন, মৎস্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত মৎস্যনীতি ২০০৯’র আলোকে প্রত্যেক জলাশয়ের তীরবর্তী মৎস্যজীবীদের নিকট জলাশয় ইজারা দেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্ত কাঠগড়া বাঁওড় সরকারিভাবে পরিচালিত হওয়ায় বাওড় সংলগ্ন মৎস্যজীবীদের জীবন মানোন্নয়নের জন্য বাঁওড়ের মোট উৎপাদনের ৪০ ভাগ টাকা মৎস্যজীবীদের প্রদান করার কথা।

কিন্তু মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে বাঁওড়ের হ্যাচারির দায়িত্ব থাকা মুজিবুর রহমান ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের নিয়োগ করা প্রতিনিধি আলীবুদ্দিন শেখ লাল ৪০ ভাগের স্থলে ২০ ভাগ টাকা প্রদান করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কাটগড়া বাঁওড় সরকারিভাবে পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও বাওড়ে দায়িত্বে থাকা মুজিবুর রহমান সরকারি আইনকে থোড়াই কেয়ার করে এমপির প্রতিনিধি আলীবুদ্দিন শেখ লালের কাছে সাবলিজ প্রদান করেছেন। ফলে মৎস্যজীবয়রা বাঁওড়ে রাণী মাছ ধরতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

মৎস্যজীবী শিব নাথ ও আনন্দ কুমার জানান, ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে মৎস্যজীবীদের ২০ ভাগ টাকা প্রদানের পর মোট ৪৮ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করা হয়। এই ৪৮ লাখ টাকার মধ্যে মৎস্যীবীদের বাকি ২০ ভাগ টাকা হিসেবে ৮ লাখ টাকা বাঁওড়ের দায়িত্ব থাকা হ্যাচারি মুজিবুর রহমান ও আলীবুদ্দিন শেখ লাল আত্মœসাৎ করেছেন।

এছাড়াও ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের ০৯/১১/২০১৬ ইং তারিখ থেকে ০৯/০৩/২০১৭ ইং তারিখ পর্যন্ত মৎস্যজীবীদেরকে ২০ ভাগ টাকা প্রদান করার পর বাকি ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার ৪শ’ ৩ টাকা হ্যাচারির দায়িত্বে থাকা মজিবুর রহমান মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদককে আলীবুদ্দিন শেখ লালের নিকট জমা রাখতে বলেন। ওই টাকার মধ্যে মৎস্যজীবীদের ২০ ভাগ টাকা দেয়ার নাম করে কাউকে না দিয়ে হ্যাচারি মুজিবুর রহমান ও আলীবুদ্দিন শেখ লাল ৯ লাখ ৭৪ হাজার ৬শ’ ৮০ টাকা নিজেরা আত্মসাৎ করেছেন। টাকা চাইতে গেলে বাঁওড়ে দায়িত্ব থাকা হ্যাচারি মজিবুর রহমানের ইন্ধনে আলীবুদ্দিন শেখ লাল তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মৎস্যজীবীদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়। এ ব্যাপারে হ্যাচারির দায়িত্বে থাকা মজিবুর রহমান ও এমপির নিয়োজিত প্রতিনিধি আলীবুদ্দিন শেখ লাল মুঠো ফোনে জানান, তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার কোনো সত্যতা নেই।