আপন ঠিকানায় ফেরা সকলকে শুভেচ্ছা স্বাগতম

বড় বড় শহরগুলো বছরভর ভোরে থাকে গ্রামবাংলার অসংখ্য প্রতিভাবানদের ভিড়ে। বছরান্তে উৎসবকে উপলক্ষ্য করেই গুণীমানুষ নাড়ির টানে বাড়ি ফেরে। প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে গ্রামবাংলার মেঠোপথ। প্রাণচঞ্চল হয়ে পড়ে ছোট ছোট শহরের বিপণী বিতানসহ রাস্তার পাশের জীর্ণ চায়ের দোকানও। দূরে থাকা আপনজন, বন্ধুদের পেয়ে গ্রামে কিংবা ছোট শহরে থাকা মানুষের আড্ডার যেন শেষ থাকে না। আকাশে বাতাসে উৎসবের রঙের ছটা ছড়িয়ে পড়ে মূলত ‘কেমন আছিস, কেমন ছিলি’ প্রশ্ন মাখা কুশলবিনিময়ে। আনমনে হাঁটা কাউকে আচমকা পিঠে থাবা তো থাকেই।
বছর ঘুরে আবারও এসেছে ঈদ। ঈদুল ফিতর। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ঝিনাইদহসহ দেশের জেলা ও উপজেলা শহরগুলোর অধিকাংশেই ঘুরছে হরেক রকম মডেলের ছোট-বড় গাড়ি। চেনা-অচেনা মুখের ভিড়ে একে অপরকে চেনার চেষ্টা যেমন থাকে অকৃত্রিম, তেমনই চিনে নিয়ে প্রবীণদেরই কেউ কেউ বলে ওঠেন, আরে তুই অমুক না? বহু বদলে গেছিস দেখছি। দূরে থাকা নবীনের মৃৃয়মান লাজুক মুখে মৃদু ঘাম যেন উৎসবের আলো ছড়ায়। এর মাঝে বড্ড কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায় যখন বিপথগামীদের অপতৎপরতা আনন্দমুখর পরিবেশ বিষন্নে ভরিয়ে তোলে তখন। না, এবার এখনও পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে তেমন অপ্রত্যাশিত ঘটনার খবর মেলেনি। পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজনে আরও জোরদার করারও সকল প্রকার প্রস্তুতি রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছে পুলিশ। এলাকাবাসীকেও সোচ্চার সজাগ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কেননা, পুলিশের পাশে সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে সাধারণ মানুষ দাঁড়ালে অপরাধীদের অপতৎপরতা বন্ধ হতে বাধ্য।
ঈদে যারা নাড়ির টানে বা মনের তাগিদে আনন্দ ভাগাভাগি করতে এখন গ্রামবাংলায়, তাদেরকে শুভেচ্ছা স্বাগতম। আপনারা নিশ্চয় জানেন, পিছিয়ে পড়া জনপদকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে যার বড়ই অভাব। এর মূল কারণ শিল্প গড়ে তোলার মতো পরিবেশ গড়ে তুলতে না পারা। বিনিয়োগে আগ্রহীদের আরও উৎসাহিত করতে না পারাও একটি কারণ বটে। এসব ব্যর্থতা স্বীকারের পাশাপাশি সবিনয়ে অনুরোধ, যখন যে যেখানেই থাকুন, শত ব্যস্ততার মাঝেও আপন জনপদেরর উন্নয়নে আন্তরিক হোন, অবদান রাখুন।