সুইসব্যাংকে কারা টাকা রেখেছে তাদের তালিকা প্রকাশ করুন

স্টাফ রিপোর্টার: সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি হিসাবধারীদের নামের তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল শনিবার রাতে দলের এক অনুষ্ঠানে এই দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এ বছরই সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাঁচার হয়েছে। পরশুদিনের কাগজে ছিলো- সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের বহু টাকা। বাংলাদেশকে গরিব দেশ বলা হয় অথচ বাংলাদেশের মানুষ সেখানে টাকা রাখছে। এই টাকাগুলো কাদের, তাদের নাম আমাদের দরকার। আমরা নাম জানতে চাই কারা সুইস ব্যাংকে কতো টাকা রেখেছে। খালেদা জিয়া আরও বলেন, সরকার যদিও অবৈধ, তারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে, তারপরেও আমি তাদের কাছেই দাবি করছি, এই সুইস ব্যাংকে কারা টাকা রেখেছে, কত টাকা রেখেছে তাদের নাম-ধামসহ হিসাবপত্র প্রকাশ করুন। দেশে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে’ অভিযোগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা ব্যাপক দুর্নীতি করছে। ব্যাংকগুলো শেষ করে দিয়েছে। সেদিন একট খবরে কাগজে লেখলো পাঁচ বছরে নতুন কোটিপতি ৫০ হাজার। তার মানে বুঝতে পারছেন, কী পরিমাণ দুর্নীতি তারা করেছে? নাহলে কথায় কথায় কোটিপতি হয়ে গেল। এরা কারা? সবই আওয়ামী লীগের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে নিজের দেশ ভাবে না। সেজন্য তারা এই অত্যাচার-অনাচার করছে। তবে আল্লাহর বিচার হবেই, সময় একদিন শেষ হবেই। সেজন্য কিন্তু তারা ভয়ে ও নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম বানিয়ে তারা বসে আছে, টাকা বানিয়ে বসে আছে। আবার একটি অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘মারামারি-কাটাকাটি বাদ দিয়ে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। যাতে সব দল অংশগ্রহণ করবে, সবাই সমান সুযোগ পাবে। এটি করলে হয়তোবা জনগণ আপনাদের ক্ষমা করতে পারে। গুলশানের কার্যালয়ে পূর্ব ঘোষিত প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অভিযানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়। শনিবার থেকে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে এই কর্মসূচি চলবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১০ টাকার বিনিময়ে সদস্য রশিদে স্বাক্ষর করে নিজে সদস্যপদ নবায়ন করেন। এরপর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী তাদের সদস্যপদ নবায়ন করেন। এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের মোট ছয় জন সদস্যপদ নবায়ন করেন।
সর্বশেষ ২০১২ সালে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান হয়েছিলো। দলটির নেতারা জানান, আন্দোলনের কারণে পরবর্তীতে এই সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি করা যায়নি।