পরকীয়ার আগুনে সংসার পোড়ানোর অভিযোগে জাঁহাপুরের তানিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার মহিলা ব্যারিস্টারের মামলা

স্বামীর সাথে পরকীয় করায় আলমডাঙ্গার তানিয়ার বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টার: স্বামীর সাথে পরকীয়ার কারণে ঢাকার এক মহিলা ব্যারিস্টারের ঘর ভেঙে দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে আলমডাঙ্গার জাঁহাপুরের তানিয়া নামের এক মেয়ের বিরুদ্ধে। গত ২৩ জুন ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা কবিতা লালবাগ থানায় মামলাটি করেন।

ঢাকার লালবাগ থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার জাঁহাপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে তানিয়া বিশ্বাস বেশ কয়েক বছর ঢাকার ফার্মগেটের গ্রীনরোডে অবস্থিত নিবেদিতা মহিলা হোস্টেলে অবস্থান করতেন। সেখানে তিনি শিক্ষা বিভাগে কর্মরত এসএম শফিউল আলম পলাশের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পলাশের স্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা কবিতা বিষয়টি জানতে পারলে স্বামীর সাথে তাদের দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পলাশ স্ত্রী ব্যারিস্টার কবিতাকে বিভিন্ন সময় শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। এ ঘটনা লালবাগ থানা পর্যন্ত গড়ায়। লালবাগ থানা পুলিশ ৩ জুন শফিউল আলম পলাশকে গ্রেফতার করে থানা হাজতে নেয়। সুযোগ বুঝে তানিয়া ও তার বাবা আব্দুল লতিফ  কৌশলে পালিয়ে ঢাকা ছেড়ে আলমডাঙ্গার জাঁহাপুর গ্রামে চলে আসেন।

জানা যায়, ৩ জুন লালবাগ থানায় বসে পলাশ স্ত্রী কবিতার সাথে একটি চুক্তিনামায় রাজি হন। তিনি আর তানিয়ার সাথে সম্পর্ক রাখবে না বলে চুক্তিনামায় সই করেন। মামলায় তানিয়া ও তার বাবা আব্দুল লতিফ  আসামী করায় আলমডাঙ্গা থানায় বসে তাদেরকেও চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হয়। কিন্ত চুক্তিনামাও কাজে লাগেনি। তানিয়া আবারও  মহিলা ব্যারিস্টারের স্বামী পলাশের সাথে গোপনে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এজাহারে আরও উল্লেখ করা  হয় যে, তানিয়ার প্ররোচনায় ২৩ জুন  পরকীয়া প্রেমিক পলাশ আরেক দফা তার স্ত্রী ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা কবিতাকে পিটিয়ে মারত্মক আহত করেন। আবারও ঘটনা থানা পর্যন্ত গড়ায়। পুলিশ পলাশকে থানা হাজতে নেয়। ওই দিনই পলাশ, তানিয়া ও আব্দুল লতিফকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা কবিতা। ওই মামলায় পলাশ এখন জেলহাজতে রয়েছেন। আর তানিয়া বিশ্বাস ও তার পিতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।