কলেজছাত্রসহ দু যুবকের ওপর নগ্ন হামলা ॥ প্রতিবাদে ছাত্রলীগের মিছিল

চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের সড়কে অটো থেকে নামিয়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ ও বাটামপেটা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রাব্বী আলী (২০) ও তার সাথে থাকা ভেকেশনালের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ইবনে মিরাজকে (১৬) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও চ্যালাকাঠ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পান্না সিনেমাহলের অদূরবর্তী আত্মবিশ্বাস কার্যালয়ের সামনের সড়কে একদল যুবক নগ্ন হামলা চালিয়ে অটো থেকে নামিয়ে দুজনকে কুপিয়ে ও চ্যালা বাটাম দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে।
দুজনকেই উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানিফসহ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ছুটে যান হাসপাতালে। সমবেত হন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলার প্রতিবাদে হাসপাতাল থেকেই বের হয় বিক্ষোভ মিছিল। মিছিলটি কোর্টমোড় হয়ে শহীদ হাসান চত্বর হয়ে সমবায় নিউমার্কেটের সামনে থেকে ঘুরে হাসান চত্বরেই শেষ হয়। মিছিলে বলা হয়, রাব্বীর রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। হামলাকরীরে অবিলম্বে ধরতে হবে, উচিত শাস্তি দিতে হবে ইত্যাদি। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপতাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্র বলেছে, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরিকুল ইসলাম ঘটনার পর পরই হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সদস্যদের সর্বাত্মক সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।
হামলার শিকার রাব্বী আলী চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ি নতুনপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে। মাথায় ও হাতে কয়েকটি কোপে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। পায়ে বাটামের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছে। ইবনে মিরাজের কোপ লেগেছে হাতে। আহত রাব্বী ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছে, আমরা দুজন একটি অটোযোগে চাঁদমারি মাঠের দিকে যাচ্ছিলাম। কলেজ সড়কের সিনেমাহল পেরিয়ে আত্মাবিশ্বাসের অফিসের নিকট পৌঁছুতেই মাঝেরপাড়ার রিগান, হাসপাতালপাড়ার রিপন, ফার্মপাড়ার স্বাধীন, ইসলামপাড়ার সোহাগ ও মুক্তিপাড়ার অতুলসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। অটো থেকে নামিয়ে নিয়ে একের পর এক কোপ মারে। কেউ কেউ তাদের হতে থাকা চ্যালাকাঠ ও বাটাম দিয়ে মেরে ফেলে রেখে সটকে পড়ে। পরে আমাদের দুজনকে উদ্ধার করে হাসাতালে নিয়েছে। হামলায় আহত ইবনে মিরাজ সাতগাড়ির মনজুরুল ইসলামের ছেলে। সে ভোকেশনালের ১০ম শ্রেণির ছাত্র।
রাব্বী ও ইবনে মিরাজের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হওয়া মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ পৌর ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের অনেকে।