নি¤œমানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় গাংনীর ধানখোলা-খড়মপুর সড়কে কাজ বন্ধ ॥ এলজিইডি কর্তারা নীরব দর্শক

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ধানখোলা-খড়মপুর সড়কে নি¤œমানের ইট ও ইটভাটার ডাস্ট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। ইটভাটা থেকে কুড়ানো ইটের গুড়া ও আমা ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগে রাস্তায় নেমেছেন এলাকাবাসী। গতকাল রোববার সকালে গ্রামবাসীর প্রতিবাদের মুখে নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এরপরেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালছেন মেহেরপুর ও গাংনী এলজিইডি’র কর্তাব্যক্তিরা। এ কারণে এলাকার মানুষের মাঝে বইছে ক্ষোভের আগুন।
স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ধানখোলা-খড়মপুর কাঁচা রাস্তাটি পাককরণের কাজ শুরু হয়। কাজের শুরু থেকেই নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করে আসছিলেন গ্রামের প্রতিবাদী কিছু মানুষ। কিন্তু তাদের কোনো কথায় শোনেননি ঠিকাদার এবং এলজিইডি প্রকৌশলীরা। গতকাল সকালে সড়কে শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। এসময় ঠিকাদারের লোকজন গাংনীর একটি ইটভাটা থেকে ডাস্ট ও আমা ইট নিয়ে যায়। ওই ইট ও ডাস্ট দিয়েই নির্মাণ কাজ পুরোদমে শুরু করেন শ্রমিকরা। বিষয়টির প্রতিবাদ করেন গ্রামের কিছু মানুষ। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করছিলেন না সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে খবর পেয়ে গ্রামের দুই শতাধিক প্রতিবাদী মানুষ সেখানো জড়ো হন। এলজিইডি গাংনী ও মেহেরপুর নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিসে যোগাযোগ করেন গ্রামবাসী। কিন্তু কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রতিরোধমূলক কোনো পদক্ষেপ না পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেন গ্রামবাসী।
ওই গ্রামের আব্দুল মান্নাফ, নজরুল ইসলাম, মতিয়ার রহমান, জিয়ারুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন, রাস্তা নির্মাণ কাজ চলার সময় এলজিইউডির কোনো প্রকৌশলী কিংবা প্রতিনিধি উপস্থিত থাকেন না। নির্মাণ কাজের জন্য রাস্তা খনন থেকেই অনিয়ম শুরু হয়। নি¤œমানের ইটের পাশাপাশি কাদা-মাটি মিশ্রিত বালু দিয়েই নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এলজিইডিতে যোগাযোগ করা হলেও কোনো লাভ হয়নি। তাই মান সম্মত উপকরণ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। নয়তো গ্রামবাসী কাজ করতে দেবেন না বলে ঘোষণা দেন গ্রামের প্রতিবাদীরা।
জানা গেছে, ধানখোলা-খড়মপুর সড়কটির ১ হাজার ৫শ’ মিটার নতুন সড়ক নির্মাণের প্রাক্কলিত ব্যয় ৭২ লাখ ১৯ হাজার ১০০ টাকা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গার আশরাফ উদ্দীন। অনিয়মের বিষয়ে ঠিকাদারের এক প্রতিনিধি বলেন, মান সম্মত ইট দিয়ে নির্মাণ কাজ করার চেষ্টা করছি।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে গাংনী এলজিইউডিতে যোগাযোগ করা হয়। উপজেলা প্রকৌশলী নেই অজুহাতে দায় এড়িয়ে যান তারা। তবে গ্রামবাসী ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এলজিইডি মেহেরপুর প্রকৌশলীকে মোবাইলে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।