ক্রিকেটারদের দৃষ্টিভঙ্গিতে বদল দেখছেন ট্রেনার

 

শের-ই-বাংলায় ক্রিকেটারদের আনাগোনা শুরু হয়েছিল কদিন আগে থেকেই। ঈদের ছুটির পর নিজের মত করে জিমে, ইনডোরে সময় কাটিয়েছেন কয়েকজন। তবে ফিটনেসের আসল ‘যুদ্ধ’ শুরু হলো সোমবার। নতুন মৌসুমের আগে শুরু হলো ফিটনেস ক্যাম্প। প্রথম দিন যথারীতি ছিল ‘বিপ টেস্ট’। ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থা পরখ করে নেওয়া। জাতীয় দলের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ মারিও ভিল্লাভারায়ন জানালেন, আলাদা করে সবার অবস্থা বুঝেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা।

“বেশ লম্বা সময় পর ফিটনেস ক্যাম্প হচ্ছে আমাদের। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে ৮ মাস আমরা টানা খেলার মধ্যে আছি। কার ফিটনেস এখন কোন অবস্থায় আছে, আলাদা করে সেটি বোঝার ভালো সুযোগ এটি আমার জন্য। যার যেখানে ঘাটতি আছে, সেটি নিয়েই আগামী তিন থেকে ছয় সপ্তাহ কাজ করতে চাই।”

ফিটনেস ট্রেনিংয়ের ক্লান্তিকর ও বিরক্তিকর কাজটি বরাবরই উপভোগ্য করে তোলার চেষ্টা করেন ভিল্লাভারায়ন। ক্রিকেটারদের মনোভাবেও পরিবর্তনটা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন শ্রীলঙ্কার এই ফিটনেস ট্রেনার। ফিটনেস ট্রেনিংকে এখন আর লড়াই হিসেবে দেখেন না ক্রিকেটাররা। বছর জুড়ে নিজেদের মত করে ফিটনেস ট্রেনিং করেন অনেকেই। উপভোগ করেন দলীয় ট্রেনিংটাও। “মনোভাবে অনেক বড় পরিবর্তন এসেছে। মানসিকতার এই পরিবর্তনই সবচেয়ে বেশি লক্ষণীয়। ওরা এখন আরও বেশি কিছু করতে চায়। আরও বেশি পরিশ্রম করতে চায়। এখন ওরা নিজেরাই ট্রেনিং করে, আগে যেটা হতো না। এই যে গত ৮-১০ মাস ওরা টানা খেলেছে; ফিটনেস ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে ওরা এখন ফিটনেস উপভোগ করে বলেই।”

আগামী মাসে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ, সেপ্টেম্বরের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। দুই সিরিজের জন্য কন্ডিশনিং ক্যাম্পের ২৯ সদস্যের দল ঘোষণা করা হয়েছে গত ২২ জুন। সেই দল থেকে তামিম ইকবাল ইংল্যান্ডে গেছেন এসেক্সে খেলতে। রুবেল হোসেন নেই চোটের কারণে। কয়েকজন আছেন হাই পারফরম্যান্স দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে। বাকিরা ছিলেন ফিটনেস ক্যাম্পের প্রথম দিনে।