আবারও বঙ্গবন্ধুর অন্যতম হত্যাকারী মেজর অব. বজলুল হুদার সমাধির নামফলক ভেঙে দিলো ছাত্রলীগ

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আবারও বঙ্গবন্ধুর অন্যতম হত্যাকারী ফাঁসির দ-াদেশপ্রাপ্ত মেজর (অব.) বজলুল হুদার সমাধির নামফলক (এফিটাফ) ভাঙলো ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। গতকাল ১০ জুলাই সকালে ২য় বারের মতো নামফলক ভাঙা হলো।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আত্মস্বীকৃত হত্যাকারী মেজর (অব.) বজলুল হুদা। তিনি আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া গ্রামের প্রায়াত ডা. রিয়াজ উদ্দীন আহমেদের (১৯৫৪ সালে নির্বাচিত প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ও যুক্তফ্রন্ট্র নেতা) ছেলে। ২০১০ সালে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ওই দিনই কঠোর নিরাপত্তায় তার লাশ নগরবোয়ালিয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। লাশ দাফনের পর পরিবারের পক্ষ থেকে তার কবরে নামফলক (এফিটাফ) নির্মাণ করা হয়। নামফলকে উৎকীর্ণ বাক্যে তাকে ‘জাতীয় বীর’ ও ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ধীরে ধীরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরই এক পর্যায়ে গত বছর ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ওই নামফলকে কালো রঙ লেপ্টে দিয়ে আসেন। অভিযোগ ওঠে পরিবারের পক্ষ থেকে কয়েক মাস পরে আবারও সে রঙ উঠিয়ে দেয়া হয়। ফলে সকলের নজরে পড়ে পূর্বের নামফলক। গত কয়েক মাস আগে আলমডাঙ্গা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ আবারও সেই নামফলকে কালি লেপ্টে দিয়ে আসে। আবারও কবরটিতে নতুন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশেষণ লেখা নামফলক লাগানো হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ গতকাল ১০ জুলাই সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপস্থিত হন। তারা স্থানীয় যুবলীগ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ওই নামফলক ভাঙচুর করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানিফ হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক জ্যাকি, তপু, জাহাঙ্গীরসহ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। স্থানীয়দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাটবোয়ালিয়ার যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম নান্নু বিশ্বাস, বশির আহমেদ, সুজন ডাক্তার, হাটুভাঙ্গার সাহিবুল মেম্বর ও আলো।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যার দায়ে ১৯৯৬ সালে এই মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি অন্যান্যের সাথে মেজর (অব.) বজলুল হুদার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।