দু নারীর মূল মিশন ২৫ মিনিটের ভিডিও নিয়ে মাঠে নেমেছে পুলিশ

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগের দোতলায় ওঠার সময় বৃদ্ধার পিছু নেয় ছদ্মবেশী ছিনতাইকারী

আহসান আলম: নানি দাদি বলে গলা জড়িয়ে ধরে গলায় থাকা সোনার চেন ছিনিয়ে নিয়ে পালানো দু নারীর ছবি নিয়ে পুলিশ মাঠে নেমেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরার উপস্থিতিতে টিএসআই ওহিদ হোসেন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ছবি সংগ্রহ করেন। এ সময় বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগমও উপস্থিত থেকে সিসি ক্যামেরার ছবি দেখে নারী দু ছিনতাইকারীকে শনাক্ত করেন।
সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেছে দেখা গেছে, শনিবার সকাল ১০টা ২৪ মিনিটে বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রবেশ করেন। দোতলায় ওঠেন। পিছু নেয় দু নারী। ওরা এক শিশুসহ এক পুরুষের সাথে কথাও বলে। দোতলায় এক চিকিৎসকের চেম্বার থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে দু নারী বৃদ্ধার পাশে ছুটে যায়। ওদের একজন বৃদ্ধার হাত থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে তিনজনে এক সাথে নিচে নামে। ওষুধও নিয়ে দেয় এক নারী। এরপরই হাসপাতালের বহির্বিভাগের বড় ক্লপসিবল গেটের পাশে বসে। বৃদ্ধাকেও বসায়। গায়ে হাত দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দু নারী বৃদ্ধাকে রেখে সরে পড়ে। বৃদ্ধ যখন দেখে গলায় চেন নেই তখন তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। সাধারণ মানুষ পাশে দাঁড়ান। তখন ১০টা বেজে ৫১ মিনিট। বৃদ্ধাকে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের চেম্বারে নেন। তিনি বর্ণনা দেন। পুলিশ আশে।
সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও চিত্রের অংশ গতকাল সোমবার পুলিশ হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগমের গলা থেকে কৌশলে ছিনিয়ে নেয়া দু নারীকে ধরতে ছবি বিভিন্ন মহলে দেখানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার কৃষ্ণপুরের মৃত সলেমান হোসেনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৭৫) দীর্ঘদিন ধরে মেয়ের বাড়ির সরোজগঞ্জ শাহাপুরে বসবাস করেন। ১৫ দিন অন্তর তিনি চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে আসেন। তার বিদেশে থাকা মেয়ে জোসনার দেয়া সোনার চেন বৃদ্ধা সব সময়ই পরে থাকতেন। গত শনিবার সকালে সোনার ওই চেন গলায় দিয়েই হাসপাতালে আসেন। দু নারী বৃদ্ধার সাথে গায়ে পড়ে সম্পর্ক করে। দাদি নানি বলে ডাকে। ওষুধ নিয়ে দেয়াসহ সহযোগিতার অজুহাতে পাশে নিয়ে বসে। গায়ে হাত দেয়ার সুযোগে গলার চেন খুলে নেয়। বৃদ্ধা যখন ওদের আচরণে সন্তুষ্ট না হয়ে গায়ে হাত দিতে বারণ করে, তখন দু নারী বলে, আমরা মনে করলাম নানি পেলাম, তুমি দেখছি ভালো না। এ কথা বলে সরে যাওয়ার পরই বৃদ্ধার টের পান গলায় থাকা সোনার চেন নেই।