পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ছাড়া কেউই পরীক্ষা কেন্দ্রে পবেশ করতে পারবেন না

চুয়াডাঙ্গায় ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ডিগ্রি পাস পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সকলকেই সহযোগিতা করতে হবে। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ছাড়া কেউই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষা-২০১৬ প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক এসব মন্তব্য করেন। আগামী ১৫ জুলাই থেকে অনুষ্ঠিতব্য ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষায় এবার ১ হাজার ৪৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। আগামী ২ অক্টোবর পরীক্ষা শেষ হবে।
জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুর রাজ্জাক, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান ও সহসভাপতি অধ্যাপক এসএস ই¯্রাফিল, ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক সলেমান হোসেন, আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু হাসান, পৌর কলেজের সহকারী অধ্যাপক জুলফিকার আলী শেখ, সহকারী অধ্যাপক আজাদুর রহমান, প্রভাষক জসিম উদ্দীন ও সহকারী কমিশনার সুচিত্র রঞ্জন দাসসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ আরও বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা, পরীক্ষা কক্ষের পরিবেশ এবং শিক্ষকদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই আন্তরিক হতে হবে। জেলার সাতটি কেন্দ্রে ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ১৮৫ জন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ৬১৮ জন, আলমডাঙ্গা এমএস জোহা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ১৩৬ জন, আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ১৩৩ জন, জীবননগর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ১৫২ জন, দর্শনা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ১৪১ জন এবং চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজ কেন্দ্রে ১২৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।
প্রস্তুতিমূলক সভায় সিদ্ধান্ত হয়- প্রত্যেক পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করা হবে। কেন্দ্রের চারদিকে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা জারিকৃত এলাকা লাল পতাকার মাধ্যমে চিহ্নিত করতে হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হবে। এছাড়া প্রশ্নপত্র এবং পরীক্ষা পরবর্তী উত্তরপত্রসমূহ রেলস্টেশন ও পোস্টঅফিসে জমা না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন থাকবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিকিৎসাসেবা প্রদানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক উপস্থিত থাকবেন। পরীক্ষা কেন্দ্রে সকল কক্ষে পর্যাপ্ত লাইটিঙের ব্যবস্থাসহ ফ্যানগুলো সচল রাখতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে বিদ্যমান সৌচাগারসমূহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। প্রত্যেক পরীক্ষা কেন্দ্রে নীতিমালা অনুযায়ী পরিদর্শক দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/হলসুপার ছাড়া অন্য কেউ মোবাইলফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।