পৌর পয়ঃনিষ্কাশনে রাক্ষসরূপী নালা হোক নিরাপদ

পৌর পয়ঃনিষ্কাশনে রাক্ষসরূপী নালা হোক নিরাপদ
পয়ঃনিষ্কাশনের নালা নির্মাণের নকশায় নিশ্চয় ঢাকনাও ছিলো। ঢাকনা ছাড়া শহরের বড় বড় সড়কের পাশে পয়ঃনিষ্কাশনের নালা মানেই তো মৃত্যু ফাঁদ। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার তত্ত্বাবধানে কলেজ রোর্ডের ড্রেনের স্লাব না থাকায় মৃত্যু ফাঁদটা কতোটা ভয়ানক তা মাঝে মাঝেই পরিলক্ষিত হয়। গতপরশু সোমবার বেলা আড়াইটার দিকেও এক নারী পড়ে রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন।
মানুষের প্রয়োজনেই মানুষ সামাজিক, সামাজিক নানা কাঠামোও মানুষের প্রয়োজনেই। প্রয়োজন মেটানোর কোনো পরিষদ বা কমিটির কোনো ভুল সিদ্ধান্ত কিংবা সংশ্লিষ্ট কারো দুর্নীতির খেসারত সমাজকেই দিতে হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বড় সড়কের ধারে পৌরসভার তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা পয়ঃনিষ্কাশন নালায় ঢাকনা না থাকা কি নকশার ভুল? নাকি দুর্নীতির কাছে আত্মসমর্পণ? দুটির একটি নিশ্চিত। কেননা, পয়ঃনিষ্কাশনের অতোবড় নালায় ঢাকনা না থাকলে পথচারীদের পদে পদে যে দুর্ভোগের শিকার হতে হবে তা উপলব্ধিতে প্রকৌশলী না হলেও চলে। অবশ্যই নির্মাণ কাজের নকশা প্রণয়ন করেন প্রকৌশলী। তিনি ওই কাজে দক্ষ বলেই তো তাকে তা করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই নকশা অনুমোদন করে পৌর পরিষদ। ঠিকাদার নিযুক্ত করেই পরিষদ ও প্রকৌশলীর দায়িত্ব শেষ হয় না, দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার নকশা মোতাবেক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করছেন কি-না তা দেখভাল করার জন্যও লোকবল থাকে। কাজের গুণগত মান নির্ণয় করে তদারককর্তার সুপারিশের প্রেক্ষিতেই ঠিকাদারের পাওনা পরিশোধের বিধান। তাহলে যে পয়ঃনিষ্কাশন নালার ঢাকনা দেয়া হলো না, অথচ পাওনা পরিশোধ হলো কীভাবে?
না, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কলেজরোডের ড্রেন নির্মাণ কাজ বর্তমান পৌর পরিষদের আমলে নয়। যে সময়েই হোক, ভয়ানক অবস্থা থেকে পরিত্রাণের দায় বর্তমান পরিষদেরও। যতো দ্রুত সম্ভব সড়কের ধারের রাক্ষসরুপি নালার ওপর ঢাকনা দেয়া দরকার। একের পর এক মানুষ পড়ে ক্ষতবিক্ষত হবে, আর পৌরসভা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবে তা কি মেনে নেয়া যায়? তড়িৎ পরিত্রাণ প্রয়োজন।