মুজিবনগরের গ্রামে গ্রামে বিনামূল্যে ফলের চারা বিতরণ।

মুজিবনগর প্রতিনিধি: বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বর্ষাকাল হলো গাছের চারা রোপনের সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এ সময় চারা দ্রুত মাটির সাথে লেগে যায় এবং বেঁচে থাকে। সময়ের সদব্যবহার করার জন্য মুজিবনগর উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে গ্রামে গ্রামে বিনামূল্যে কুল, তেতুল, বেল, আম, লিচু, কাঁচকলা, বারোমাসি সজিনাসহ বিভিন্ন ফলের চারা বিতরণ করা হচ্ছে। শুধু চারাই নয় কচি চারাগুলোকে ছাগল গরুর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বাঁশের চাটাইয়ের তৈরি ঘেরা বেড়াও বিতরণ করা হচ্ছে। সরোজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলা কৃষি অফিসার মুহ: মোফাক্খারুল ইসলাম নিজে উপস্থিত হয়ে গ্রামের সাধারন কৃষক কৃষানীদের মাঝে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ফলের চারা এবং ঘেরা বেড়া বিতরন করছেন। সেই সাথে তিনি চারা গাছটি রোপন পরবর্তি বিভিন্ন পরিচর্যার বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। পরিদর্শনকালে বল্লভপুর গ্রামের ইউপি সদস্য শংকর বিশ্বাস বলেন, তাদের বল্লভপুর গ্রামে গত বছরের ন্যায় এ বছরেও প্রায় ২শত বারোমাসি সজিনা এবং আপেল কুলের চারা এবং শতাধিক আমের চারা পেয়ে তারা খুব খুশি কৃষি অফিসার এবং কৃষি বান্ধব সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জয়পুর গ্রামের আব্দুস সামাদ বলেন, তাদের গ্রামে ৪শত তেতুল চারা ছাড়াও শতাধিক আম ও লিচুর চারা পেয়েছে। মহাজনপুর গ্রামের ইউপি সদস্য স্বপন এবং শিক্ষক মোশারেফ হোসেন মিন্টু তাদের গ্রামের বিভিন্ন পাড়ায় বিতরনের জন্য মুজিবনগর কৃষি অফিস থেকে কাঁচকলার চারা, তেতুল, কুল, বেল, চালতা ও বারোমাসি সজিনার চারা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মুহ: মোফাক্খারুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানান, চলতি মৌসুমে কৃষি অফিস থেকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের মাঝে প্রায় দশ হাজার দেশীয় বিলুপ্ত প্রায় ফল ও সবজির চারা বিতরন করার প্রোগ্রাম রয়েছে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে প্রদর্শনী স্থাপনের জন্য আ¤্রপালি, হিমসাগর, ল্যাংড়া, হাড়িভাঙ্গা, বারিআম-৪ সহ বিভিন্ন জাতের আমের চারা, থাই পেয়ারা, বোম্বাই লিচুর চারা প্রদর্শনীভূক্ত কৃষকদের মাঝে বিতরনের কাজ চলমান রয়েছে এবং আগে গ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন রকম দেশী ফল গাছের সমাহার ছিল। দিনদিন সেগুলোর এখন প্রায় বিলুপ্তর পথে। বিলুপ্ত প্রায় এসব ফলের গাছ সম্প্রসারণ করাই মূল উদ্দেশ্য। তাছাড়া একটি গাছ একটি পরিবারের সম্পদ। একটি ফলের গাছ থেকে একটি পরিবারের যেমন পুষ্টি চাহিদা পূুুুুুুুুুুুুরণ হবে তেমনি অতিরিক্ত ফল বিক্রি করে পারিবারিকভাবে লাভবান হবে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে এসব ফলের চারা পেয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ কৃষি অফিসার ও কৃষি বান্ধব সরকারকে ভূয়শী প্রশংসা করে। এসব কার্যক্রম সারাদেশে সম্প্রসারিত হলে পুষ্টিচাহিদার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।