দেশের টুকিটাকি : জীবিতকে মৃত দেখিয়ে পুলিশ প্রতিবেদন, হজযাত্রা অনিশ্চিত

ঘোরাঘুরির পর চলে গেলো বাঘটি

স্টাফ রিপোর্টার: নদী পার হয়ে সুন্দরবন থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিলো বাঘটি। এক বাসিন্দার ঘরে ঢুকে ছাগল ধরার চেষ্টা করে। কিছুক্ষণ জানালার পাশে বসে থাকে। তিন ঘণ্টা ঘোরাঘুরির পর চলে যায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর কোনো এক সময়ে বাঘটি মীরগাং নদী পার হয়ে উপজেলার টেংরাখালী গ্রামে ঢোকে। ওই গ্রামের বাসিন্দা ও টাইগার টিমের সদস্য আবদুল হাকিমের ভাষ্য, বাঘটি তাদের বাড়িতে ঢুকে ছাগল ধরার জন্য গোয়ালে ঢোকার চেষ্টা করে। না পেরে একপর্যায়ে তাদের বসতঘরের জানালার পাশে বসে থাকে। প্রায় ঘণ্টা তিনেক ঘোরাঘুরির পর বাঘটি চলে যায়। আবদুল হাকিম আরও বলেন, প্রতিবেশীদের থেকে তার বাড়ি একটু দূরে। তাই ভয়ে কাউকে জোরে ডাকতে পারেননি। টেংরাখালী গ্রামের চিংড়ি ব্যবসায়ী নিশিকান্ত ও নূরুল গাইন জানান, একবার লোকালয়ে এলে বাঘ বারবার আসে। এ কারণে এলাকার বাসিন্দারা শঙ্কিত।

জীবিতকে মৃত দেখিয়ে পুলিশ প্রতিবেদন, হজযাত্রা অনিশ্চিত

মাথাভাঙ্গা মনিটর; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পুলিশকে খরচাপাতি তথা ঘুষ না দেয়ায় এক জীবিত বিএনপি নেতাকে মৃত দেখিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। এর ফলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স না পেয়ে হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে গেছে ওই বিএনপি নেতার। নিরুপায় হয়ে কয়েকবার থানায় গিয়ে ধর্ণা দিয়ে পুলিশের মন গলাতে না পেরে উচ্চ আদালতে রিট করেছেন তিনি। ভুক্তভোগীর নাম আজাদ হোসেন ভূইয়া। তিনি আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়কুড়িপাইকা গ্রামের মৃত সাত্তার ভূইয়ার পুত্র। তিনি বলেন, আখাউড়া থানার ততকালীন এসআই (বর্তমানে কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল থানায় কর্মরত) আবুল কালাম ফোন দিয়ে তাকে থানায় যেতে বলেন। কিন্তু জরুরি কাজে ঢাকায় ব্যস্ত থাকায় এসআই আবুল কালামের সাথে তিনি দেখা করতে পারেননি।বিএনপি নেতার অভিযোগ, কয়েকদিন পর এসআই কালাম ফের মোবাইলফোনে তাকে জানান হজে যাওয়ার নিবন্ধনের জন্য পুলিশ প্রতিবেদন দিতে হবে। তাকে থানায় দেখা করে কিছু খরচাপাতি দিতে বলেন তিনি। হজের কাজে ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এ সময় এসআই বলেন, আপনার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাই খরচাপাতি দিতে হবে।

গাজীপুরে অপহরণের পাঁচদিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুরে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণের পাঁচদিন পর শুক্রবার ভোরে এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে জয়দেবপুর থানার পুলিশ। অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বোর্ডবাজারের বাদে কলেমেশ্বর এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার হয়। নিহতের নানি সাহানা বেগম জানান, তার নাতনি বীথি আক্তার (৬) স্থানীয় হোসেন আলী স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো। তাদের বাড়ি শরীয়তপুরের জাঝিরা থানার পাচুখার কন্দি এলাকায়। বীথির বাবা বিল্লাল হোসেন মালয়েশিয়া প্রবাসী। নিহতের নানা ধলু সরদার বোর্ডবাজার এলাকায় ভাঙড়ির ব্যবসা করেন। সে সুবাদে নানা ধলু সরদারের সাথে বীথি ও তার মা বাদেকলেমেশ্বর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। মামলার সূত্র ধরে মুক্তিপণ চাওয়া মোবাইলফোন নম্বরটি দিয়ে অপহরণকারীদের ধরার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় যে আটজনকে আটক হয়েছে তাদের মধ্যে শিশুটি অপহরণ ও হত্যার সাথে জড়িত থাকতে পারে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের মাথা ও দেহের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন রয়েছে।

মসজিদ ঝাড়ু দেয়ার সময় তাবলীগের সাথীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টারন: জুমার নামাজের পূর্ব মুহূর্তে মসজিদ ঝাড়ু দেয়ার সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তাবলীগ জামায়াতের সাথী আজিজুল হক (৬৫)। গতকাল শুক্রবার ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের কাউরাট নূতন বাজার জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। তিনি শরীয়তপুর সদর উপজেলার আঙ্গুরিয়া ইউনিয়নের আবদুল করিম মাদবরের পুত্র। এক চিল্লা দেয়ার উদ্দেশ্যে ৯ জুলাই আল্লাহর রাস্তায় তাবলীগ জামায়াতের সাথী হন। জামাতের জিম্মাদার হযরত মাওলানা আব্দুল হালিম জানান, সকালের বয়ান শেষে দুপুর ১২টার দিকে জুম্মার নামাজের প্রস্তুতির জন্য মসজিদ ঝাড়ু দেয়ার সময় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি রোজাও ছিলেন। এক চিল্লার ৫দিন মেহনত করেন।
কাউরাট ঈদগাহ ময়দানে আছরের নামাজের পর জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন জামাতের জিম্মাদার হযরত মাওলানা আব্দুল হালিম।