ঘোষবিলায় মা-মেয়েকে খুঁটির সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় আরও দুজন গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার ঘোষবিলায় মা ও মেয়েকে খুঁটির সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন গ্রামটিতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেন।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোষবিলা গ্রামের আনজেত আলীর ছেলে মিস্টারের ঘরের চালে কিছুদিন যাবৎ ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটছে। ঢিল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে মিস্টারের মামাত ভাই আরিফের বিরুদ্ধে। আরিফ মিস্টারের ঘরের চালে ঢিল মেরে তাকে ওই জমি থেকে তুলে দেয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঘরের চালে ঢিল ছোড়ার কাজটি করছে বলে মিস্টারের দাবি। গত ৭ জুলাই শুক্রবার দুপুরে মিষ্টার বাড়ির পাশের পান বরজে কাজ করার সময় তার ঘরের চালে আবারও ঢিল ছোড়া হয়। এবার দোষ দেয়া হয় পাশের বাড়ির হানেফ আলীর স্ত্রী রিনা খাতুন ও তার মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ইয়াসমিনকে। মিস্টার বরজ থেকে বাড়ি ফিরে রিনা খাতুন ও ইয়াসমিনকে চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। ঘরের খুঁটির সাথে দুজনকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করে। এ সময় ১০ দিনের শিশু সন্তানের মা সরলা খাতুনকেও মারপিট করা হয় বলে জানা যায়।

ওইদিন রাতে রিনা খাতুন তার মেয়ে ইয়াসমিন ও সরলা খাতুন অভিযোগ দিতে আসেন আলমডাঙ্গা থানায়। ১০ দিনের বাচ্চাকে কাপড় দিয়ে ঢেকে কোলে নিয়ে সরলা খাতুনও থানায় আসেন। মা ও তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে খুঁটির সাথে বেঁধে নির্যাতন করার দৃশ্য ও খুটিতে বেঁধে রাখা মা ও মেয়ের কান্নার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়লে প্রশাসনও আসামিদের গ্রেফতার করতে উঠে পড়ে লাগে।

গতকাল শুক্রবার রাতে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মৃত বিশারত আলীর ছেলে আবু মুসা (৪২) ও মৃত আমীর আলীর ছেলে হারুন অর রশিদকে (৩৫) গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। আজ তাদের সংশ্লিষ্ঠ মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে। ইতঃপূর্বে গত ৯ জুলাই  সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে মিস্টার, রহিম, হারুন ও রসুলকে আটক করে পুলিশ।