বিশ্ব টুকিটাকি : পুরো দেশের সহায়তা ছাড়া কাশ্মীর যুদ্ধে জিততে পারব না : মেহবুবা মুফতি

পুরো দেশের সহায়তা ছাড়া কাশ্মীর যুদ্ধে জিততে পারব না : মেহবুবা মুফতি

মাথাভাঙ্গা মনিটর: জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বলেছেন, পুরো দেশ ও রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের সহায়তা না করলে আমরা কাশ্মীর যুদ্ধে জিততে পারব না। শনিবার ভারতের নয়াদিল্লিতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাথে বৈঠক শেষে মেহবুবা মুফতি সাংবাদিকদের একথা জানান।
মেহবুবা বলেন, কাশ্মীরে আমরা যে যুদ্ধে লিপ্ত, তা আইনশৃঙ্খলা সমস্যা নিয়ে না। যতোক্ষণ না পুরো দেশ ও রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের সহায়তা করবে ততক্ষণ আমরা এই যুদ্ধে জিততে পারব না। সিকিমের ডোকালা সীমান্ত নিয়ে ভারত ও চীনের দ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাশ্মীরে যেসব হামলা হচ্ছে তার পেছনে বিদেশি শক্তি রয়েছে। এমনকি চীনও আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে।

ট্রাম্প নিজেই বৈশ্বিক নিরাপত্তার ঝুঁকি : ইরান

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইরান বলেছে, বৈশ্বিক নিরাপত্তা ঝুঁকির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের খামখেয়ালি ও সাংঘর্ষিক নীতি দায়ী। তেহরানকে দুষ্ট রাষ্ট্র অভিহিত করারও সমালোচনা করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি। গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়া, ইরান, সিরিয়ার মতো দুষ্ট রাষ্ট্র ও সরকারের অর্থায়ন ও সমর্থনে নতুন হুমকির সৃষ্টি হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ বাহরাম কাসেমির বরাতে বলে, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ও বিদ্রোহের কারণ ট্রাম্প তার খামখেয়ালি ও সাংঘর্ষিক নীতি ও কর্মপদ্ধতির মধ্যে খুঁজলেই পাবেন, পাশাপাশি এই অঞ্চলে তার একগুঁয়ে, আগ্রাসী ও দখলদার মিত্রদের কর্মকাণ্ড এর জন্য দায়ী। জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তারা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতার জন্য আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও মার্কিন মিত্র সৌদি আরবকে দায়ী করে। গত মাসে তেহরানে প্রথমবারের মতো আইএস জঙ্গি হামলা করতে সমর্থ হয়, নিহত হয় ১৮ জন। এই হামলার জন্যও ইরান সৌদি আরবকে দায়ী করে তবে তারা কোনো ধরণের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছে।

ছয় মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় ফের ধাক্কা আদালতে

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ছয়টি মুসলিম দেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আরও শিথিল করার কথা বললো আদালত। একই সাথে ‘নিকট আত্মীয়ের’পরিধিও বেড়েছে।

ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে গত মাসেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সংশোধিত’ নিষেধাজ্ঞায় আংশিক অনুমোদন দিয়েছিলো সুপ্রিম কোর্ট। যা হাতিয়ার করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর নতুন ফরমান জারি করে বলেছিলো, ছাড় দেয়া হবে শুধু কাছের সম্পর্কের ক্ষেত্রেই। অর্থাৎ কর্মসূত্রে ওই ছয়টি দেশ থেকে যারা যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন, তাদের শুধু নিকট আত্মীয়েরাই এ দেশে আসতে পারবেন। ‘নিকট আত্মীয়’ বলতে ট্রাম্প প্রশাসন বাবা-মা (শ্বশুর-শাশুড়িও), স্বামী-স্ত্রী, ছেলেমেয়ে, জামাই, পুত্রবধূ এবং ভাইবোনের (সৎভাই বোনও) কথাই উল্লেখ করেছিলো। কিন্তু দাদা-দাদি, নানা-নানী, নাতি-নাতনি, চাচা-চাচি, ভাইপো-ভাইঝি কিংবা সম্পর্কিত ভাইবোনদের কেন ‘কাছের সম্পর্ক’ হিসেবে গ্রাহ্য করা হবে না, তা নিয়েই মামলা হয়েছিল হাওয়াই স্টেটের ফেডারেল কোর্টে। বিচারক ডেরিক ওয়াটসন গত কাল এর রায় দিতে গিয়ে জানান, দাদা-দাদি বা নানা-নানি অবশ্যই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। তাই কাছের সম্পর্ককে মান্যতা দিতে গেলে আরও অনেককেই ভ্রমণে ছাড় দিতে হবে।’

গুরু পিঠে হাঁটলেইঅন্ত:সত্ত্বাহওয়ার ভ্রান্ত বিশ্বাস 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সারি করে শুয়ে আছেন নারীরা। তাদের পিঠের ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। চলছে বাদ্য। ওই নারীদের বিশ্বাস, এতে তারা অন্তঃসত্ত্বা হতে পারবেন। ঘটনাটি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের অন্ধপ্রদেশের অনন্তপুর জেলার লক্ষ্মী নরসিমা স্বামী মন্দিরে। এখানে প্রত্যেক বছর জুলাই মাসে বহু পুরোনো ধর্মীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী সন্তান ধারণের ক্ষমতা পাওয়ার আশায় নরনারীরা জড়ো হন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম পাহাড়ি উপত্যকার নারীরা ‘একাদশী’ নামের এ উৎসব পালন করছেন। নির্দিষ্ট দিনে নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে মন্দিরের সামনে লাইন ধরে শুয়ে পড়েন। এরপর অপেক্ষা করতে থাকেন ধর্মীয় গুরু বা স্বামীজির জন্য। এক পর্যায়ে গলায় মালা পরে হাজির হন স্বামীজি। নারীদের পিঠ মাড়িয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন তিনি। এ সময় হাজারো মানুষ তা প্রত্যক্ষ করেন। তবে অনেকেই অভিযোগ করেছেন, স্বামীজির এই পদমণ্ডিত হয়েও তাদের কোনো কাজ হয়নি। একাধিকবার এলেও সন্তান আর পেটে আসেনি। অন্ধপ্রদেশের মানাকসিরা শহরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হরিলাল নায়ক জানান, ওই অঞ্চলের মানুষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই গভীর বিশ্বাস ধারণ করে আসছেন। তিনি বলেন, ‘এটা এখন পরিষ্কার স্বামীজি তাদের পিঠের ওপর দিয়ে হাঁটলেও গর্ভবর্তী হতে পারছেন না। তারপরেও তাদের বিশ্বাসের জোর কমছে না।

মার্কিন কূটনীতিকদের বরখাস্তের হুমকি রাশিয়ার

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কূটনীতিকের আড়ালে মার্কিন অনেক গুপ্তচর মস্কোয় কাজ করছেন বলে দাবি করেছে রাশিয়া। তাদের কয়েকজনকে শিগগিরই বরখাস্তের পরিকল্পনার কথাও জানান রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। গুপ্তচর অভিযোগ তুলে গত বছর ৩৫ রুশ কূটনীতিককে বরখাস্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে অবস্থিত রাশিয়ার দুইটি কূটনৈতিক কম্পাউন্ডের নিয়ন্ত্রণও নেয়া হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর রাশিয়া আশা করেছিল তাদের জব্দ করা কম্পাউন্ড দুইটি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে এ সংক্রান্ত দেনদরবারও শুরু হয়। কিন্তু এতো দিনেও কিছু না হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ মস্কো এবার পাল্টা জবাব দিতে এ পরিকল্পনা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে গত বছর ডিসেম্বর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গুপ্তচর সন্দেহে ৩৫ রুশ কূটনীতিককে বরখাস্ত করে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে রাশিয়ার কূটনৈতিক কম্পাউন্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবেন। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভের সাথে জাখারোভা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভিসা না দেয়ায় বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের স্থলে নতুন কর্মী পাঠিয়ে ওয়াশিংটনে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের পূর্ণশক্তি ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না।