আবারও বার্সার ‘বীর’ নেইমার

মাথাভাঙ্গা মনিটর: নেইমার কি পিএসজিতে চলে যাবেন? নাকি রয়ে যাবেন বার্সেলোনা-সমর্থকদের ভালোবাসার প্রতিদান দিয়ে। মরসুম শুরুর আগে এই প্রশ্নগুলো ঘুরে-ফিরে আসছে সবার মাথায়। দলবদলের বাজারে সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র নেইমার কিন্তু মাঠে নিজের কাজটা ঠিকই করে যাচ্ছেন; প্রাক-মরসুমেই জানিয়ে রাখছেন নিজের কার্যকারিতা। গত শনিবার তার জোড়া গোলে জুভেন্টাসকে হারিয়েছিলো বার্সেলোনা। গতকাল ভোরে ওয়াশিংটনে তার গোলেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়েছে তারা। জুভেন্টাসের বিপক্ষেও দারুণ দুটি গোল করেছিলেন। ইউনাইটেডের বিপক্ষেও দল জিতিয়েছেন দর্শনীয় এক গোলে। ৩১ মিনিটে মেসির বাড়ানো থ্রু ইউনাইটেডের ডি বক্সে অ্যান্তোনিও ভ্যালেন্সিয়া পায়ে নিতে ব্যর্থ হলে পেয়ে যান নেইমার। এরপর নিজের শরীরটা পুরো ঘুরিয়ে বল পৌঁছে দেন জালে।

ম্যাচের শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলো ইউনাইটেড। তবে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজের ফুটবল-শৈলীর সঙ্গে পেরে ওঠেননি হোসে মরিনহোর শিষ্যরা। বার্সেলোনার নতুন কোচ এর্নেস্তো ভালভার্দে শনিবার জুভেন্টাসের বিপক্ষে যে দলটি খেলিয়েছিলেন ইউনাইটেডের বিপক্ষে, তাতে পরিবর্তন এনেছিলেন বেশ কয়েকটি। লুইস সুয়ারেজ ছিলেন প্রথম একাদশে। ছিলেন জর্ডি আলবা, স্যামুয়েল উমতিতি, নেলসন সেমেদো, সার্জিও বুসকেটস আর ১৯ বছর বয়সী কার্লেস অ্যারেনা। সঙ্গে মেসি-নেইমার তো ছিলেনই। মরিনহোও দলে পরিবর্তন এনেছিলেন। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে গত রোববার টাইব্রেকারে জয় পাওয়া দলটির মাত্র তিনজন—মিচেল ক্যারিক, মার্কুস রাশফোর্ড আর জেসে লিংগার্ডই ছিলেন প্রথম একাদশে। খেলার প্রথমার্ধেই রাশফোর্ডের ক্রস থেকে গোলপোস্টের ওপর দিয়ে বল মেরে সুযোগ নষ্ট করেন রোমেলু লুকাকু। তবে ম্যাচের বেশির ভাগ সময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে অনেক ভালো খেলেছে বার্সেলোনা। গোলবারে কঠিন পরীক্ষা দিয়েছেন ম্যানচেস্টার গোলকিপার ডেভিড ডি গিয়া। সুযোগ নষ্ট করেন নেইমার, কিছুক্ষণ পর মেসিও। সুয়ারেজও সুযোগ পেয়ে সেটি হারান বাইরে বল মেরে। মেসির একটি শট তো পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ইউনাইটেড আরও একটি সুযোগ পেয়েছিলো; পল পগবা ও রাশফোর্ডের মিলিত প্রচেষ্টা ব্যর্থই হয়। নির্দিষ্ট করে বললে, ব্যর্থ করে দেন বার্সেলোনা গোলকিপার সিলেসেন।

ম্যাচের শেষ দিকে ভালভার্দে মেসি-নেইমারকে উঠিয়ে নিলে ইউনাইটেড কিছুটা চড়াও হয়েছিল। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করেছিলো, কিন্তু কাজের কাজটা করতে পারেনি।