চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের নিকট অবৈধ তদবিরকারী মেম্বারসহ ২ ব্যক্তিকে আলমডাঙ্গা থানায় সোপর্দ

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: পুলিশ সুপারের নিকট অবৈধ তদবির করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে নওলামারী গ্রামের লালচাঁদ মেম্বারসহ ২ ব্যক্তি। গতকাল চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে তদবিরকালে তাদেরকে আটক করে পুলিশ সুপার নিজে আলমডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করেন।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকু-ু উপজেলার হরিশপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী শারমিন খাতুন ৩ বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে সম্প্রতি পিতার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দিগরী গ্রামে বেড়াতে যায়। গত ১১ জুলাই সকালে দেলোয়ার হোসেন মোটরসাইকেলে করে তার স্ত্রী ও শিশুকন্যা মায়াকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা খাসকররা-রায়সাহ গ্রামের জিকে ক্যানেলের উঁচু ব্রিজ থেকে নীচে নামলে দ্রুতগামী পাওয়ারটিলার তাদের মোটর সাইকেলকে সজোরে ধাক্কা দেয়। সে সময় মোটরসাইকেলসহ সকলে মাটিতে পড়ে যায়। বাবা-মার চোখের সামনে মাটিতে লুটিয়ে পড়া আদরের শিশুকন্যার শরীরের ওপর দিয়ে নিয়ন্ত্রণহীন পাওয়ারটিলার উঠে যায়। এতে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম হয় শিশুকন্যা মায়া। তাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় প্রথমে হরিণাকু-ু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু ঘটে। খাসকররা ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল ও ঘাতক পাওয়ারটিলার উদ্ধার করে। সে সময় পালিয়ে যায় পাওয়ারটিলার চালক আলমডাঙ্গার নওলামারী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মুনিয়ার।
নিহত শিশুকন্যার পিতা দেলোয়ারের আত্মীয়-স্বজনকে প্রভাবিত করে সম্প্রতি ঘাতক পাউয়ারটিলারচালক মুনিয়ার হত্যাকা-ের ঘটনা মীমাংসা করে ফেলেন। মীমাংসার আপোষনামা নিয়ে মুনিয়ারের আত্মীয় নওলামারী গ্রামের মৃত ইয়াসিন ম-লের ছেলে লালচাঁদ মেম্বার ও একই গ্রামের কালাচাঁদের ছেলে নাসির হোসেন চুয়াডাঙ্গায় যান পুলিশ সুপারের নিকট জমা দিয়ে খাসকররা পুলিশ ফাঁড়িতে আটক পাউয়ারটিলার নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য। সে সময় পুলিশ সুপার তাদের উভয়কে আটক করেন। পরে নিজে আলমডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করেন।