জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদে পুলিশ কনস্টেবল পদে চুয়াডাঙ্গার ৩ জনের চাকরি গ্রহণজাল মুক্তিযোদ্ধা সনদে পুলিশ কনস্টেবল পদে চুয়াডাঙ্গার ৩ জনের চাকরি গ্রহণ

জাহাঙ্গীর ও নাসিমা জেলহাজতে : রবিউল গ্রেফতারের প্রক্রিয়ায়

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি নেয়া তিন কনস্টেবলের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর আলম ও নাসিমা খাতুনকে রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম খুলনা ও নাসিমা খাতুন যশোর জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। শনিবার তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। অপরজন রবিউল ইসলাম ঢাকায় কর্মরত রয়েছেন।রোববার দুপুরে গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর আলম ও নাসিমা খাতুনকে আদালতে হাজির করে জামিনের আবেদন করা হয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হালিম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। পুলিশের বিশেষ শাখা জানায়, ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হন দামুড়হুদা উপজেলার বড়বলদিয়া গ্রামের অবদুল কুদ্দুসের মেয়ে নাসিমা খাতুন। একইভাবে ২০১৪ সালের ১৬ মার্চ জেলা পুলিশে কনস্টেবল পদে নিয়োগ পান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আসানন্দপুর গ্রামের তোফাজ্জেল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম ও একই উপজেলার জলিবিলা গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হক জানান, পুলিশে যোগদানের পর ওই তিন কনস্টেবলের মুক্তিযোদ্ধা সনদের কাগজপত্র সন্দেহজনক হলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গত ৮ জুলাই তদন্তের জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে ১৪ জুলাই মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো তিন কনস্টেবলের কাগজপত্র জাল ও ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়।২ আগস্ট জেলা পুলিশের রিজার্ভ অফিসার (উপ-পরিদর্শক) শহিদুজ্জামান বাদী হয়ে সদর থানায় দুটি মামলা করেন। পরে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। আরেক অভিযুক্ত রবিউল ইসলামকেও গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ইন্সপেক্টর গোলাম মোহাম্মদ ও ইন্সপেক্টর আমির আব্বাস জানান।