হেলসিংকি অদূরে বনভোজনে প্রবাসীদের হারিয়ে যাওয়ার একটি দিন

 

জামান সরকার, হেলসিংকি থেকেঃ

আমি হারিয়ে যাবো, হারিয়ে যাবো আমি। দলবেধে  কিংবা একাকী নিজের মতো থাকবো।

সংসার-ক্লাস-পরীক্ষা-কর্ম-ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে যান্ত্রিকতার শহর ছেড়ে বন-লেকের দেবীর কাছে  পাড়ি জমাবো।

গ্রীষ্ম এলেই বনভোজনের ধুম পড়ে ফিনল্যান্ডে। এ সময়ে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, পাড়া-মহল্লা এমনকি পরিবারের সবাই মিলে আনন্দময় কিছুটা সময় কাটানোর জন্য বের হয়ে পড়ে। তবে সেজন্য জায়গাটি সঠিক হলে বনভোজন হয়ে উঠে আনন্দে ভরপুর।

সোমবার ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিস্থ প্রবাসীদের বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মসজিদের আয়োজনে বন, লেক আর পাহাড়ের অপূর্ব সম্মিলন তুসুলাতে হয়ে গেলো জমজমাট পিকনিক। এটি ছিল প্রবাসীদের আনন্দে ভাসার স্মরণীয় একটি দিন।

পিকনিক ষ্পটের আংগিনাটি ছিলো আনন্দের বন্যা। হৈ হুল্লাড় মাতিয়ে রাখলো এক এক করে সবাইকে। দিনটি স্মৃতি হয়ে থাকলো ক্যালেন্ডারের পাতাও।

সুস্বাদু নাস্তা দিয়ে শুরু হয় দিনটি তারপর দুপুরে পরিবেশিত হয় বিরানি এবং সালাদ সহ কত কি।

তারপর ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত বিকালে গ্রিলে ছিলো বারবিকিউ হটডগ, মুরগী, ভেজিটেবল ইত্যাদি।

রসনাভর্তি খাবার খেয়ে অতিথিবৃন্দ তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন।

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে রাত্র ঘনিয়ে এলে পিকনিকের আনন্দ পরিসমাপ্তি ঘটে। ব্যাপক আনন্দ আর সুখ স্মৃতি নিয়ে ফিনল্যান্ড প্রবাসীরা নিজ নিজ ঘরে ফিরে যায় বনভোজনের উদ্যোক্তা বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটিকে কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ দিয়ে।

এতে অন্যান্যদের মধে উপস্থিত ছিলেন বদরুল মুনির, কামরুল আলম কমল, লিমন চৌধূরী, নাসির খান, নাজমুল হুদা, মাহবুবুল আলম, জহুরুল ইসলাম সিকদার, মসজিদের পেশ ইমাম বশির আহমেদ, আবুল হাসেম চৌধূরী, মোঃ হারুণ উর রশীদ, মোস্তফা আজাদ বাপি, এনামুল হক শিপু, শওকত আলী মিলন, শরিফ বিশ্বাস, হাসিব সরকার, খালেদুল ইসলাম জিতু, রেজাউল ইসলাম শিপু, আবুল কালাম, রতন, আকরাম, তপন বংগবাসী, আবদুল লতিফ, আবুল কালাম আজাদ, পিটু, এহসান মনজু, জামান সরকার, মবিন মোহাম্মদ, মোকলেসুর রহমান চপল, বদরুম ফেরদৌস, তাপস খান, মোহাম্মদ সাহিন, সামসুল গাজী, মাইনুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিঠু, আবদুল্লাহ আল আরিফ, নাজমুল হাসান লিটন, মাহফুজ রহমান, আনোয়ার হোসেন, রাইসুল, ওজায়ের মোঃ উজ্জল, কিউট সোহেল প্রমুখ।