চকলেট বোমসহ আটক দু স্কুলছাত্রকে শিশু সংশোধনাগারে নেয়ার আদেশ

জাতীয় শোক দিবসের চুয়াডাঙ্গার অনুষ্ঠানে প্রবেশের সময় মেটাল ডিটেক্টরে সঙ্কেত : পুলিশি পদক্ষেপ

স্টাফ রিপোর্টার: পটকাসহ পাকড়াও দু স্কুলছাত্র আসিফ ইকবাল ও মন্ময়কে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ বিস্ফোরক আইনে দু কিশোরকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

দু শিশু অসিব ইকবাল ও মনন্ময়কে আজ বৃহস্পতিবার যশোর নেয়া হতে পারে। গতকাল দু শিশুকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানাতেই রাখা হয়। গতপরশু জাতীয় শোক দিবসের দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শোকদিবস উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে প্রবেশের সময় দু স্কুলছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। আসিব ইকবালের ব্যাগের মধ্যে ছিলো ৯টি চকলেট বোমা বা পটকা। জাতীয় শোকদিবসের আয়োজনে নাশকতা এড়াতে যখন বাড়তি সতর্কতা, তখন ব্যাগে করে ৯টি চকলেটবোমা নিয়ে প্রবেশ কেন? চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র আসিব ইকবাল বলেছে, ক’দিন আগে স্কুলের ফুটবল খেলা হয়। ওইদিন খেলায় জিতলে পটকা ফোটানোর জন্যই তা কিনে ব্যাগে রাখা হয়। সাথে ছিলো এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র মন্ময়।

আসিফ ইকবাল চুয়াডাঙ্গার ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার বাসিন্দা লিটন আলীর ছেলে। আর মনন্ময় একইপাড়ার টিপুল মাস্টারের ছেলে। দু স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য বহনের অভিযোগে মামলা করা হয়। সদর থানার এসআই প্রসাদ কুমার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। গতকাল আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত দু স্কুলছাত্রের বয়সের প্রসঙ্গটিই সামনে উঠে আসে। ফলে জেলহাজতে নয়, শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে রাখার আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।