চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৭ জন গ্রেফতার

চুরি যাওয়া মোবাইলফোন ও সোনা-রুপার কয়েন উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে গতকাল শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে জেলার চার উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় প্রায় ৩৬ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্মার্ট মোবাইলফোন ও ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮শ টাকা মূল্যের সোনা-রুপার কয়েন। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুল মোমেন জানান, বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা ৯, আলমডাঙ্গা থানা ৩, দামুড়হুদা মডেল থানা ১৪ ও জীবননগর থানা পুলিশ ১ জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে একজন আলমডাঙ্গা থানার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।
এছাড়া গত ১৬ আগস্ট ফার্মপাড়ার কবির হাসানের ছেলে মেহেদী হাসান চঞ্চলকে (২২) গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চুরি যাওয়া প্রায় ৩৬ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্যামসাং এস-৫ মোবাইলফোন এবং এক লাখ টাকা মূল্যের ৪৯টি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সময়ের রুপার কয়েন উদ্ধার করা হয়। এগুলো চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত অধিদফতরের উপসহকারী প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের ঈদগাপাড়াস্থ বাড়ি থেকে একমাস আগে চুরি হয়। এছাড়া ১৭৫ বোতল ফেনসিডিল ও ১শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারের মাতৃ জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী চঞ্চল কর্মকারকে (৪৭) আটক করে পুলিশ। এ সময় তার দোকানের সিঁন্দুক তল্লাশি করে বিভিন্ন দেশের চোরাই ৫টি রুপার কয়েন উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৯ হাজার টাকা।
প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা মূল্যের আরও ৩টি সোনার কয়েন এবং ১৯ হাজার ৮শ টাকা মূল্যের ১১টি রুপার কয়েন গলিয়ে গয়না তৈরি করে বিক্রি করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে। পরে দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর মধ্যে মেহেদী হাসান চঞ্চল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এছাড়া চঞ্চল কর্মকারকে রিমান্ডের নেয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। পরে বিজ্ঞ আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করেন।