বিভীষিকাময় রক্তাক্ত ২১ আগস্ট আগস্ট আজ

স্টাফ রিপোর্টার: বিভীষিকাময় রক্তাক্ত ২১ আগস্ট ভয়াল গ্রেনেড হামলার ১৩তম বার্ষিকী আজ। রক্তমাখা বীভৎস হত্যাযজ্ঞের দিন। ২০০৪ সালের আগস্টের এই দিনে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন নেতা সেদিন অল্পের জন্য এ ভয়াবহ হামলা থেকে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান দলের ২৪ জন নেতাকর্মী। ২১ আগস্টের সমাবেশে বিকালে একটি ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চে যখন শেখ হাসিনা বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তখন আকস্মিক এ হামলায় প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী ও আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমান এবং আরো ২৩ জন নেতাকর্মী নিহত হন। এছাড়াও এ হামলায় আরো ৪০০ জন আহত হন। আহতদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। তাদের কেউ কেউ আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। বর্বরোচিত এ গ্রেনেড হামলায় নিহতরা হলেন- আইভি রহমান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রশীদ, আবুল কালাম আজাদ, রেজিনা বেগম, নাসির উদ্দিন সরদার, আতিক সরকার, আবদুল কুদ্দুস পাটোয়ারী, আমিনুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, বেলাল হোসেন, মামুন মৃধা, রতন শিকদার, লিটন মুন্সি, হাসিনা মমতাজ রিনা, সুফিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা), মোশতাক আহমেদ সেন্টু, মোহাম্মদ হানিফ, আবুল কাশেম, জাহেদ আলী, মোমেন আলী, এম শামসুদ্দিন এবং ইসাহাক মিয়া। মারাত্মকভাবে আহতদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, আব্দুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ওবায়দুল কাদের, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, মোহাম্মদ হানিফ, এএফএম বাহাউদ্দিন নাছিম, নজরুল ইসলাম বাবু, আওলাদ হোসেন, সাঈদ খোকন, মাহবুবা পারভীন, অ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল, নাসিমা ফেরদৌস, শাহিদা তারেক দিপ্তী, রাশেদা আখতার রুমা, হামিদা খানম মনি, ইঞ্জিনিয়ার সেলিম, রুমা ইসলাম, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেইন, মামুন মল্লিক প্রমুখ।

২১ আগস্ট দিনটিকে ২০০৪ সালের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত জনগণ গ্রেনেড হামলা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। আওয়ামী লীগও দিনটি পালন করে থাকে। প্রতিবারের মতো এবারও দলটি ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন (খামারবাড়ি, ফার্মগেট) আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক আলোচনাসভার আয়োজন করেছে। সংগঠনের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন। বক্তব্য রাখবেন দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে আওয়ামী লীগের সকল জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে কর্মসূচি পালন করবে।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২১ আগস্ট দিনটিকে ২০০৪ সালের পর থেকে বাংলার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত জনগণ গ্রেনেড হামলা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। এদিকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সাথে আওয়ামী লীগের সকল জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সমস্ত শাখার নেতৃবৃন্দকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে দিবসটি স্মরণ ও পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন।