আতপ চাল দেখে আগ্রহ হারিয়েছেন অনেক ক্রেতা

সবধরনের চালের দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি। তাতে কষ্টে পড়েছে শ্রমজীবীসহ স্বল্প আয়ের মানুষ। মোটা চালের দামও এখন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্ন আয়ের মানুষের। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সরকার আবার ওএমএস চালু করেছে। চালের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। আটা আগের দামেই, অর্থাৎ ১৭ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে। রোববার থেকে সারাদেশে ওএমএস চালু করার কথা থাকলেও প্রথম দিনে সব জায়গায় চালু হয়নি। সারাদেশে ৬২৭টি ট্রাক থেকে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি করা হবে। ওএমএস চালুর প্রথম দিনে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ওএমএসে আতপ চাল বিক্রির খবরে উৎসাহ হারিয়েছেন অনেক ক্রেতা। ক্রেতাদের পছন্দ না হলেও আতপ চাল দিয়েই এবারের ওএমএস চালাতে হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা। কারণ সরকারের খাদ্যগুদামে যেসব চাল আসছে, তার বেশির ভাগই আতপ। মিয়ানমার থেকে যে চাল আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তাও আতপ। ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া থেকে আসা পাঁচ লাখ টন চালের মধ্যে সাড়ে চার লাখ টনই আতপ।

দেশের বেশির ভাগ মানুষ সিদ্ধ চালে অভ্যস্ত। তাই আমদানির আগেই বিষয়টি ভাবা প্রয়োজন ছিলো। এখন ওএমএস কর্মসূচির চাল আতপ হলেও তা যে ক্ষতিকর নয়, পুষ্টিমানও কম নয়, এমন বিশ্বাস ক্রেতাদের মধ্যে স্থাপন করা গেলে আতপ চালেই ওএমএস কর্মসূচি সফল করা সম্ভব হবে। এর জন্য এ কর্মসূচিকে নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে। ক্রেতারা অল্প দিনেই আতপ চালে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। এজন্য চাল বিক্রির ট্রাকের সংখ্যা ও স্পট বাড়াতে হবে। প্রতিটি এলাকায় নির্দিষ্ট স্থানে চাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। ভালো হয় বিভিন্ন এলাকার বাজার সংলগ্ন স্থানে চাল বিক্রির ব্যবস্থা করা গেলে। তাতে ক্রেতারা আশ্বস্ত হবে। ওএমএসের চাল বা আটা যেন কালোবাজারে চলে না যায়, সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।