পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহাগের খোঁজ দু দিনেও মেলেনি : পরিবারে চলছে কান্নার মাতম

কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহাগের খোঁজ মেলেনি দু দিনেও। পরিবারের লোকজনের মধ্যে চলছে কান্নার মাতম। সোহাগের কোনো খোঁজ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সোহাগের পরিবার। গতপরশু বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া পুরোনো ঘাট পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে নৌপুলিশ ফাঁড়ির কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য জাহিদুল ইসলাম সোহাগ ও তার সহযোগীরা। তার সহযোগীরা উঠে এলেও তিনি আর উঠে আসতে পারেননি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে তাকে স্রোতে টেনে নিয়ে গেছে। যার ফলে তিনি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। গতপরশু তার লাশ উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল খুঁজতে থাকে কিন্তু তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর গতকাল সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, নৌপুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। সোহাগের দুলাভাই আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা পরিবারের লোকজন মাওয়া ঘাটে অবস্থান করেছি। সোহাগকে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর এখনও কোনো সন্ধান মেলেনি। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল আমাদেরকে বলেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি তার লাশটি খুঁজে বের করার জন্য। যদি তাকে খুঁজে না পাই তাহলে হয়তো ২-৩ দিন পর হয়তো লাশটি ভেসে উঠতে পারে। লাশটি খুঁজে পেলে আমাদের একটি সফল অভিযান হবে। সোহাগ দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের ক্যাম্পপাড়ার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুর রহমান কল্লার ছেলে। ২০১২ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগদান করেন।